এক প্রৌঢ়কে পিটিয়ে মারার অভিযোগে এক চোলাই বিক্রেতা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা। ধৃতদের নাম পারুল প্রামাণিক, সাধন সর্দাঈর, পৈলান সর্দার, প্রতিমা প্রামাণিক ও কিশোরে সর্দার। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার বেলপুকুুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম সুদর্শন বাগ (৫০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ভ্যানচালক সুদর্শনবাবুর স্ত্রী রাণুদেবীদেবী কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। দুই মেয়েই বিবাহিত। তিন ছেলের সকলেই ভিনরাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে একাই থাকতেন সুদর্শনবাবু। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সোমবার সকালে বেলপুকুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি চোলাইয়ের ঠেকের কাছে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, সুদর্শনবাবুর জামাই দীপঙ্কর হাতি তাঁর শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মদ খাওয়া নিয়ে বচসার জেরে সুদর্শনবাবুকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন বাড়ি আসেন রাণুদেবী। তিনি জানান, সারাদিনের খাটুনির পরে স্বামী প্রতিদিন সন্ধ্যায় ওই টোলাইয়ের ঠেকে যেতেন। কিন্তু কেন তাঁকে পিটিয়ে মারা হল বুঝতে পারছেন না।
|
অস্ত্র দেখিয়ে পরপর দু’টি বাড়িতে ডাকাতি হল খড়দহের ডাঙাপাড়ায়। পুলিশ জানায়, রবিবার গভীর রাতে মাঠপাড়া রোডের বাসিন্দা বিশ্বনাথ ভুক্তা ও পঞ্চানন সামন্তর বাড়িতে হানা দেয় আট জনের ডাকাতদল। প্রথমে তারা বিশ্বনাথবাবুর বাড়ির গেট ভেঙে ঢোকে। এর পরে বাড়ির লোকেদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা ও গয়না লুঠ করে পালায়। তার পরে ডাকাতেরা যায় কাছেই পঞ্চাননবাবুর বাড়ি। পিছনের দরজা ভাঙার চেষ্টা করতে জেগে যান বাড়ির লোকজন। পঞ্চাননবাবু সামনের দরজা খুলে বেরোতে যেতেই চার দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। তার পরে আলমারি ভেঙে টাকা-গয়না লুঠ করে। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা-প্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।” |