কটূক্তির প্রতিবাদ করায় ধাওয়া করে স্কুটারে ধাক্কা মেরে এক বধূকে জখম করার অভিযোগ উঠল কয়েক জন মোটরবাইক আরোহীর বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে হুগলির মগরায় অসম লিঙ্ক রোডের রেয়ন গেট এলাকার ঘটনা। অনামিকা সেনগুপ্ত নামে ওই বধূকে জখম অবস্থায় প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁকে মগরার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করানো হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সোমবার বীরেশ দাস নামে ত্রিবেণীর এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বত্রিশের অনামিকাদেবীর বাড়ি কুন্তীঘাটের রঘুনাথপুরে। রবিবার বিকেলে বেলতলা বাজারে তিনি ছেলে দেবস্মিতকে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি পেট্রোল পাম্পে তিনি স্কুটারে তেল ভরেন। সেখানেই মোটরবাইকে থাকা কয়েক জন নেশাগ্রস্ত যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করে বলে অভিযোগ। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে ওই যুবকেরা ধাওয়া করে। তার পরে রেয়ন গেট এলাকায় মোটরবাইকের ধাক্কা মেরে অনামিকাদেবীকে স্কুটার থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনা ভেবে ছুটে এলে ওই যুবকেরা পালায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে প্রতিবাদে ওই বিকেলেই স্থানীয় লোকজন আধ ঘণ্টা পথ অবরোধ করেন। |
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর কপাল, মাথা ও হাতে চোট রয়েছে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে অনামিকাদেবী বলেন, “ওরা সংখ্যায় ৪-৫ জন ছিল। সকলেই নেশাগ্রস্ত ছিল। ওরা আমার উদ্দেশে খারাপ কথা বলে। গায়ে পড়ে কথা বলার চেষ্টাও করে। আমি কথা বলব না জানিয়ে স্কুটার নিয়ে বেরোতেই ওরা ধাওয়া করে। কিছু পরে আমার স্কুটারের পিছনে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে আমি বেহুঁশ হয়ে যাই।” |