উত্তপ্ত বনগাঁ
কলেজের অদূরেই জটলা নেতাদের, সংঘর্ষে জখম ৬
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধিদের ‘অকারণে’ ঢোকার উপরে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ভোটে সেই নির্দেশ অমান্য না-করলেও তৃণমূল বিধায়ক ও স্থানীয় নেতারা কলেজের মূল ফটক থেকে কয়েকশো মিটার দূরে সারা দিন ‘বুথ’ করে বসে থাকলেন। ‘আইনশৃঙ্খলার’ অবনতি আটকাতে এই পদক্ষেপ বলে দলীয় ভাবে ব্যাখ্যা করা হলেও সংঘর্ষ এড়ানো গেল না। মারধরে জখম হয়েছেন দু’পক্ষের ৬ জন। তাঁদের ৫ জনই এসএফআইয়ের। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নিবার্চন বয়কট করে এসএফআই।
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে এ দিন ‘বুথে’ বসে ভোট নিয়ে ঘনঘন খোঁজ-খবর করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত, শহর তৃণমূল সভাপতি দিলীপ দাস প্রমুখ। বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য, “আমরা কলেজ থেকে অনেকটাই দূরে বসেছিলাম। আমরা এসেছিলাম দলীয় সমর্থকদের দেখাশোনা করতে। আমাদের কাছে খবর ছিল, এসএফআই অশান্তি করতে পারে।”
তৃণমূলের শিবিরে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (মোবাইল ফোন কানে)। ছবি: পার্থসারথি নন্দী
কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্বও তাঁদের ছাত্র সংগঠনগুলিকে ‘সাহস জোগাতে’ এ দিন হাজির ছিলেন কলেজের বাইরে। ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে গ্রামে গ্রামে রীতিমতো প্রচারও চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।
তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “কলেজ চত্বরে না থাকলেই হল। দূরে বসে আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না হয়, তা দেখা যেতেই পারে।”
‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি’ অবশ্য আটকানো যায়নি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে এবং ‘নিরাপত্তার’ দাবিতে ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু পরেই এসএফআই নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, তাঁরা ‘ভোট বয়কট’ করছেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ এসএফআই প্রার্থী-সমর্থকদের পুলিশি নিরাপত্তায় গাড়িতে করে বের করা হয় কলেজ থেকে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম বলেন, “নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় এসএফআই ভোট বয়কট করেছে বলে জানিয়েছে। আমি পুলিশকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছিলাম।”
পুলিশের দাবি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। যদিও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এসএফআই সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। মারধরে তাঁদের ৫ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন এসএফআই নেতৃত্ব। সকলকে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাল্টা দাবি, তাঁদের এক মহিলা সমর্থক জখম হয়েছেন। বনগাঁ-চাকদহ সড়কে টাউনহল মোড়ে কিছু ক্ষণ অবরোধ করে এসএফআই।
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গোপাল শেঠ এ প্রসঙ্গে বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত জেনে ওরা সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ আনল।”
অন্য দিকে, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দুলাল মণ্ডল বলেন, “আমাদের ওরা মারধর করে। হুমকি দেয়। তাই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।” বনগাঁ মহকুমারই ন’হাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ভোটও ছিল এ দিন। এখানেও এসএফআই ‘ভোট বয়কট’ করে। নদিয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩টি আসনে সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। টিএমসিপি ছাড়া কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.