নবম শ্রেণির অপহৃত এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পাচারে ঘটনায় অভিযুক্ত এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই নাবালিকাকেও অপহরণের প্রায় ২ মাস পর গত শনিবার রাতে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর অসুস্থ ওই কিশোরীকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই কিশোরী ও ধৃত ব্যক্তি, দু’জনেরই ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ চলছে।”
ধৃতের নাম ডাবলু শেখ। বাড়ি রানিতলার হাজিগঞ্জে। গত ৩ জানুয়ারি বিকালে রানিতলার লাগোয়া গুধিয়া গ্রামের হাইমাদ্রাসার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডাবলু অপহরণ করে চেন্নাই নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাকে সোমবার আদালতে হাজির করানো হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী সঞ্জীবকুমার বর্মন বলেন, “জামিনের আবেদন খারিজ করে লালবাগের এসিজেএম অনিলকুমার প্রসাদ ধৃতকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।” লালবাগ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই কিশোরী বলে, “আমাকে চেন্নাই নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। প্রতি দিন সন্ধ্যায় ফিরে সে আমার উপরে অত্যাচার চলাত।” অপহরণের পর দিনই ওই কিশোরীর বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় আরএসপি নেতা রফিক হোসেন জানান তাঁরাই ডাবলুর মোবাইল নম্বর জোগাড় করে তার সঙ্গে খদ্দের সেজে কথা বলেন। রফিক বলেন, “আমাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ডাবলু ওই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে চেন্নাই থেকে গত শনিবার লালবাগ স্টেশনে পৌঁছয়। সেখানেই পুলিশ তাকে পাকড়াও করে।”
ওই কিশোরীর মা বলেন, “কিছু দিন ধরে আমার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অজুহাতে ডাবলু ও লালচাঁদ শেখ ঘুর ঘুর করত। বিয়ে দেওয়ার নাম করেই আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ওরা বিক্রি করে দেওয়ার মতলব করেছিল।” |