ব্লক অফিসে ঢুকে সোমবার দুপুরে সরকারি কর্মীদের ভয় দেখানো ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কালীগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি রাজা রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জের বিডিও শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় ওই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “বিডিও-র অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত পলাতক।”
গত দেড় বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকায় কালীগঞ্জের একটি রাস্তা তৈরির কাজে ঠিকাদারি করছেন রাজা রায়চৌধুরী। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাজ অর্ধেকও না করে তিনি রাস্তার কাজে রোলার ব্যবহার শুরু করেন। এতে আপত্তি করা হলে এ দিন তিনি ব্লক অফিসের বাস্তুকারদের ঘরে ঢুকে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও ভয় দেখান। এ ব্যাপারে বিডিও শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দেড় বছর ধরে রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। তার জন্য শো-কজ নোটিশও দেওয়া হয়। আমি লোক পাঠিয়ে দেখেছি ৫০ শতাংশ কাজও সম্পূর্ণ হয়নি। এ দিন ব্লক অফিসে এসে ওই তৃণমূল নেতা কর্তব্যরত কর্মীদের হুমকি দেন। বলেন, তিনিই নাকি ব্লকের শেষ কথা। তার কথা না শুনলে দফতর অচল করে দেবেন। আমি এ ব্যাপারে পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।” রাজা রায়চৌধুরীর অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, “কোনও কাজ করতে গেলেই বাস্তুকারেরা প্রতি এক লক্ষ টাকার কাজে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চান। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে আমার সঙ্গে ওদের বচসা হয়। কর্মীরাই টেবিলের কাচ ভেঙে আমার নামে দোষ দিচ্ছেন। আমরাও এ বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছি।” বিডিও অবশ্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনার পরে তৃণমূলের কিছু কর্মী সমর্থক দলীয় পতাকা নিয়ে ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আলতাব হোসেন বলেন, “কেউ অন্যায় করলে তার শাস্তি হবে। দল তার পাশে দাঁড়াবে না।” কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “এটা দলের নীতি নয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই ব্যক্তিকে দলে রাখা হবে কি না তা ভাবা হবে। এ ছাড়া পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।” |