|
|
|
|
ক্ষুদ্র সেচ নিগমে টেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সমস্ত ঠিকাদারদের না জানিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে--এই অভিযোগে ক্ষুদ্র সেচ নিগমের পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারকে ঘেরাও করে রাখলেন ঠিকাদারেরা। সোমবার দিনভর ঘেরাওয়ের পর বিকেল সাড়ে ৫টায় অফিস থেকে বেরোতে পারেন ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র বিমল বারুই। ঠিকাদারদের অভিযোগ, অফিসে নোটিস না দিয়ে, স্থানীয় কাগজ ও বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন না দিয়েই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ফলে বেশিরভাগ ঠিকাদারই দরপত্রের খবর পাননি। গুটিকয়েক ঠিকাদারকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই এই পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়রিং কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবেশ দাসের অভিযোগ। তিনি বলেন, “কম প্রচারিত একটি ইংরাজি কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েই কাজ দেওয়া হয়েছে। যাতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে। সব ঠিকাদার অংশ নিতে পারেননি। এটা পাইয়ে দেওয়ার চক্রান্ত।” অন্য দিকে ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়র বিমল বারুই বলেন, “একটি ইংরাজি ও বাংলা দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি জায়গাতেই নোটিসও পাঠানো হয়েছে। যে সমস্ত ঠিকাদার এই ধরনের অপপ্রচার করছেন, তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করার যোগ্যতা-প্রমাণে উপযুক্ত নথি নেই। কেবলমাত্র কাজে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যেই এ সব করা হচ্ছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর থেকে এই বিভাগকে ২০টি রিভার লিফট ইরিগেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মার্চ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেয় প্রশাসন। প্রায় ৩ কোটি টাকার এই প্রকল্প রূপায়িত করতে দরপত্র আহ্বান করার কথা। স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার জন্য পরিচিত গুটিকয় ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে দফতর। না হলে সব জায়গায় নোটিস ও বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হত। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের কাছেও এই অভিযোগ জানিয়েছেন ঠিকাদারেরা। এমনকী এর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। আর ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়রের দাবি, নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়েছে। |
|
|
|
|
|