|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত দু’বছর নির্বাচন হয়নি। বিরোধীরা মনোনয়ন তুলতে না পারায় সবক’টি আসনে ‘একতরফা’ জয়ী হয়েছিল তখনকার ‘শাসক’ সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এ বার মুখোমুখি লড়াইয়ে এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সোমবার থেকে শুরু হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন-পর্ব। রাজ্য জুড়ে শিক্ষাঙ্গনে গোলমালের পরিবেশে অন্তত প্রথম দিন নির্বিঘ্নেই মনোনয়ন-পর্ব চলেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখনকার শাসক-শিবিরের সংগঠন টিএমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরি-র তাই সগর্বে মন্তব্য, “ওদের আমলে বিরোধীদের মনোনয়ন তুলতেই দেওয়া হত না। কিন্তু এ বার ওরা (এসএফআই) নির্বিঘ্নেই মনোনয়ন তুলছে, জমা দিচ্ছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ভাবেই নির্বাচন হোক।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার অবশ্য বক্তব্য, “ওরা (টিএমসিপি) বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেই।” মনোনয়নপত্র সংগ্রহ-জমার এই পর্ব চলবে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত। আগামী ২১ মার্চ ছাত্র সংসদের নির্বাচন। |
|
কড়া পাহারায় মনোনয়নপত্র তোলার কাজ চলছে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া ঘিরে যাতে কোনও অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কড়া’ পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’টি প্রধান গেটের সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিচয়পত্র দেখিয়েই ছাত্রছাত্রীদের ঢুকতে হয়েছে। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদেরও পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকতে হয়। জেলা পুলিশের বক্তব্য, ‘বহিরাগতদের’ ঢোকা বন্ধ করতেই এই বন্দোবস্ত। সোমবার মনোনয়ন-পর্বের প্রথম দিন এসএফআই, টিএমসিপি, সিপি, ডিএসও-র মতো ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। একটি সূত্রের খবর, এ দিন সব মিলিয়ে ২০৯টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। একাংশ মনোনয়নপত্র জমাও পড়েছে। নির্বিঘ্নে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ-জমার কাজ শুরু হওয়ায় ‘স্বস্তিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সব রকম পদক্ষেপই করা হয়েছে।” এ বার ছাত্র সংসদের আসন সংখ্যা ১৪১। আগে ছিল ১৩৩। তিন বছর আগে (২০০৯) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৮টি আসনে জিতেছিল ডিএসও। বাকি সবই এসএফআই। টিএমসিপি, সিপি কোনও আসনই পায়নি। আর গত দু’বছর (’১০, ’১১) সংসদ নির্বাচনে কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা। |
|
|
|
|
|