বিজয় হাজারে ট্রফির নক আউট পর্বের যুদ্ধে নামার আগে জোড়া ধাক্কা বাংলা শিবিরে।
এক, পালাম ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাঠ। যেখানে মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের মহড়া নিতে নামছে সৌরভ-মনোজ-ঋদ্ধির বাংলা। খোঁজ-খবর নিয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্লের মতো কারও কারও আশঙ্কা, উইকেট ‘আন্ডারপ্রিপেয়ার্ড’ হতে চলেছে।
দুই, সেমিফাইনালে উঠলে দলের দুই ভরসাকে বাইরে রেখেই মাঠে নামতে হবে বাংলাকে। অশোক দিন্দা এবং মনোজ তিওয়ারি থাকবেন না। ১০ মার্চ তাঁদের এশিয়া কাপ খেলতে চলে যেতে হবে। বোর্ডই সেটা জানিয়ে দিয়েছে।
বাংলা শিবির মনে করছে, ধাক্কা নম্বর দুই সামলাতে অসুবিধা হবে না। মনোজকে ছাড়াই মরসুমের বেশির ভাগ ম্যাচ খেলেছে বাংলা। দিন্দার পরিবর্ত পেসার আছে। কিন্তু পালামের মাঠ? বিজয় হাজারে খেলতে এসে পঞ্জাব অধিনায়ক হরভজন সিংহ যে মাঠকে তুলোধোনা করেছেন। বাংলা শিবিরও প্রবল অসন্তুষ্ট। এতটাই যে ম্যাচের আগের দিন নিয়মমতো যে উইকেট দেখার ব্যাপার থাকে, সে সবের রাস্তাতেই যাননি কেউ! সোমবার ফিরোজ শাহ কোটলায় প্র্যাক্টিসের সময় পালাম মাঠের যা খবর পৌঁছয়, তার পরই টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করে ফেলে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আসুন। তার পর ম্যাচের সকালে যা দেখার দেখা হবে।
|
পালামের উইকেটে মাটি ফেলা হয় না বছর দশেক হল। বল ওঠে না হাঁটুর উপর। আদতে টার্নার। আউটফিল্ড? চোট পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকছে। মাঠে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। অবস্থা এতটাই খারাপ যে এ দিন সকালের ঝড়ে মাঠের সাইট স্ক্রিন এবং তৃতীয় আম্পায়ারের ক্যামেরাও উড়ে যায় বলে খবর! বাংলা কোচ ডব্লিউ ভি রামন এ দিন প্র্যাক্টিস শেষে বলছিলেন, “মাঠ দেখতে যাইনি। তবে একটা ব্যাপার হচ্ছে দু’টো টিমই একই মাঠে খেলবে।” জানা গেল, দু’জন তো বটেই, দরকারে তিন স্পিনার নিয়েও নামতে পারে বাংলা। ইরেশ সাক্সেনা, অর্ণব নন্দীর সঙ্গে টিমে ঢুকতে পারেন সৌরাশিস লাহিড়ি। তবে চূড়ান্ত একাদশ বাছবেন সৌরভ। যিনি কি না এ দিন সন্ধে নাগাদ দিল্লি ঢুকে পড়লেন। দুই পেসার হিসাবে থাকবেন অশোক দিন্দা এবং সামি আহমেদ।
প্রতিপক্ষ হিসাবে মধ্যপ্রদেশ সহজ নয়। রঞ্জিতে এ বছরই তারা ইডেন থেকে পয়েন্ট তুলেছে। টিমে নমন ওঝা, মনীশ মিশ্ররা আছেন। কিন্তু দিন্দা-ঋদ্ধিদের মনোভাবে হেরফের হচ্ছে কোথায়? দিন্দা তুলে আনছেন দলীপ জয়ের ‘জোট’-কে। বলছেন, “দলীপ ট্রফিটা জোটবদ্ধ হয়ে জিতেছিলাম। সেই জোট এখানেও থাকবে।” ঋদ্ধি আবার পরিষ্কার করে দিচ্ছেন, মনোজ ঢুকে পড়ায় শক্তি আরও বাড়বে। “সৌরভ আছে। মনোজ আছে। মনোবলটা অন্য জায়গায় চলে গেল। তিনটে ম্যাচ জিতে ট্রফিটা কলকাতায় নিয়ে যেতে চাই।” আর কলকাতা ছাড়ার আগে মনোজ বলে গেলেন, “অনেক দিন ম্যাচ খেলিনি। এ বার নামব, আর নিজের সেরাটা দেব।” চার বার এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও ট্রফি ঘরে ওঠেনি বাংলার। জাতীয় স্তরে বাংলার প্রত্যাবর্তনের পয়লা ধাপে পালামের উইকেটই যা একমাত্র কাঁটা। |