|
|
|
|
প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েতের অফিস খুলে ত্রাণের চাল, মিনি-কিট, সার এবং কীটনাশক পাচারের অভিযোগ উঠেছে এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের সিপিএম পরিচালিত মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। রাতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সংশ্লিষ্ট প্রধান আশোকতরু কারককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকেরা প্রধানকে অল্পবিস্তর মারধরও করে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই প্রধানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রশাসনের তরফে প্রধানের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।
প্রধানকে গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে সোমবারও অবশ্য তৃণমূল সমর্থকেরা ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখায়। প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বিডিও-র কাছেও দাবি জানায় তারা। বিডিও আসেক রহমান জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমাণ হলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি চিত্ত পালের অভিযোগ, “রবিবার ছুটির দিন রাতের অন্ধকারে প্রধান তাঁর লোকজনদের নিয়ে সরকারি সামগ্রী পাচার করছিলেন। এলাকার বাসিন্দারা তা দেখেছেন।” সিপিএমের চন্দ্রকোনা-১ জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল চক্রবর্তীর দাবি, “তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। সরকারি সামগ্রী যে কোনও সময়েই বিলি করা যায়। সরকারি নিয়ম মেনেই প্রধান তা বিলি করছিলেন। তদন্ত হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
কৃষি দফতর ও ব্লক সূত্রের খবর, সম্প্রতি অকাল-বৃষ্টির জন্য ওই এলাকায় আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই নিখরচায় ডালশস্য, ধান, সার ও বিভিন্ন রকমের কীটনাশক এলাকার চাষিদের বিলি করার জন্য ওই পঞ্চায়েতে দেওয়া হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী পঞ্চায়েতের সদস্যরা এলাকায় ঘুরে প্রকৃত ক্ষতিগস্ত চাষিদের তালিকা তৈরি করবেন। তার পরে সামগ্রী বিলির সময়ে মাস্টাররোল এবং বিলির আগে বিতরণের জন্য পঞ্চায়েতের সব সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি চিত্ত পালের অভিযোগ, “কোনও নিয়মই মানা হয়নি। পঞ্চায়েতে কোনও বৈঠকও হয়নি। মাস্টাররোলও তৈরি হয়নি।” |
|
|
|
|
|