শহরে মদের ঠেকে ভাঙচুর
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চোলাই মদের ঠেক চলছিল। ‘বহিরাগত’ লোকজন ভিড় জমাত। মাঝেমধ্যে অশান্তিও বাধত। সন্ধের পর রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়াই মুশকিল হয়ে উঠেছিল। মদ্যপ যুবকেরা মহিলাদের প্রতি কটুক্তিও করত। এই পরিস্থিতিতে চোলাইয়ের ঠেক বন্ধের দাবি অনেক আগেই জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু, অবৈধ মদ-ব্যবসা চলতেই থাকায় এ বার এলাকার লোকজনই ভেঙে দিলেন ঠেক। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অবৈধ মদের ঠেক বন্ধ করতে প্রায়ই তল্লাশি চলে। অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপও করা হয়।” স্থানীয়দের অবশ্য অভিযোগ, পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের একাংশের মদতেই অবৈধ মদের ঠেক চলছে।
মদের ঠেকে ভাঙচুরের পরে
মেদিনীপুর শহরের পশ্চিম প্রান্তে রাঙামাটি। এখানে প্রায় ৫-৬টি অবৈধ মদের ঠেক চলত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকার মানুষের আপত্তিতে অধিকাংশই অবশ্য বন্ধ হয়েছে। রাঙামাটি উড়ালপুলের অদূরে থাকা একটি মদের ঠেক সোমবার ভেঙে দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, ঠেকটি চালাতেন মনা মান্ডি নামে এক মহিলা। বাড়ি ঝর্নাডাঙ্গায়। এলাকার যুবকেরা এ দিন দল বেঁধে ঠেক ভাঙতে এলে শুরুতে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। পরিস্থিতি বুঝে পরে অবশ্য তিনি এলাকা ছেড়ে পালান। উড়ালপুলের কাছেই রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কার্যালয়। ওই কার্যালয়ের উল্টোদিকেই চলত অবৈধ মদের ঠেকটি। স্থানীয়দের বক্তব্য, আগেও পুলিশকে ঠেক ভাঙার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু, কিছু হয়নি। রাঙামাটি এলাকাতেই পান দোকান রয়েছে নিতাই দে-র। তিনি বলেন, “মদের ঠেক চলায় এখানকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছিল। এলাকায় বাইরের লোকজন যাতায়াত করত। স্থানীয়দের নানা সমস্যায় পড়তে হত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.