দিনের আলোয় বাড়ির উঠোনে স্ত্রী এবং সৎ মেয়েকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে হুগলির ডানকুনির মনোহরপুরে ঘটনা। নিহতদের নাম হালিমা বেগম (৪৫) এবং রেশমা খাতুন (১৬)। জোড়া খুনের অভিযোগ পুলিশ হালিমার স্বামী আবু কালাম ওরফে আক্রমকে খুঁজছে পুলিশ। সে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই ওই দু’জন খুন হন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশের খাতায় আক্রমের নামে এর আগেও দুষ্কৃতীমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। খুনের অস্ত্রের খোঁজ চলছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পরে হালিমা আক্রমকে বিয়ে করেন। রেশমা হালিমার প্রথম পক্ষের সন্তান। ডিভোর্সের পরে প্রথম স্বামীর কাছ থেকে কিছু টাকা পেয়েছিলেন হালিমা। সেই টাকাতেই মনোহরপুরের শেখপাড়ায় একটি ছোট বাড়ি করেন হালিমা। বছর দুয়েক ধরে তিন জনে ওই বাড়িতেই থাকছিলেন। রেশমা ডানকুনির একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত। অভিযোগ, কিছু দিন ধরে আক্রম বাড়িটি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল হালিমাকে। এ নিয়ে দু’জনের বচসাও হত।
সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দু’জনের ঝগড়া হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের অনুমান, সেই সময়ে আচমকা শাবল জাতীয় কিছু দিয়ে হালিমার মাথায় আঘাত করে আক্রম। সে রেয়াত করেনি রেশমাকেও। মা-মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। তার পরে গা-ঢাকা দেয় আক্রম। দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা এসে ভিড় জমান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ রেশমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে কিছু ক্ষণের মধ্যে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। হালিমাকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। হালিমার বাবা মহম্মদ আলি পুলিশের কাছে জামাই আক্রমের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তে পুলিশ। |