|
|
|
|
প্রবন্ধ ১... |
এ রাজ্যে ছোট চাষির কথা বলার কেউ নেই |
তাই সহায়ক মূল্য ঘরে নিয়ে যায় আড়তদার, চালকল মালিক,
বড় চাষিরা। কোথায় গলদ, সে প্রশ্নও কেউ করে না।
স্বাতী ভট্টাচার্য |
এ বছর পশ্চিমবঙ্গের চাষির সংকট যে কত বড়, কত গভীর, তা আন্দাজ করা সহজ নয়। কেউ জানে না, কত চাষি অভাবী বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন, কত জনের চেক বাউন্স করেছে, কত জন দশ কুইন্টাল বিক্রি করে ‘কুড়ি কুইন্টালের দাম পাইলাম’ লিখে দিয়েছেন। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের কতজন চাষি, সেই প্রশ্নটা না হয় তোলা থাকল।
সংকটের বহর স্পষ্ট হচ্ছে এলোমেলো আঁচড় থেকে ফুটে-ওঠা ছবির মতো।
দেখা যাচ্ছে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে যাঁরা ধান বিক্রি করতে না-পেরে হাহাকার করছিলেন, এখন ধান কেনার শিবিরে তাঁরা আর আসছেন না। আসছেন মাঝারি কিংবা বড় চাষিরা, নইলে ধান ব্যবসায়ীরা। এরা সকলেই ছোট চাষিদের থেকে কম দামে ধান কিনে মজুত করেছিলেন। চাষি সেজে সহায়ক মূল্য দাবি করে তিন জন আড়তদার শাস্তি পেয়েছেন বর্ধমানে। কত জন শাস্তি না পেয়ে সহায়ক মূল্য পেয়েছেন, তার হিসেব কারও কাছে নেই।
দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালের তুলনায় গত বছর সারের দাম হয়েছে দ্বিগুণ, চাষের মোট খরচ বেড়েছে ২৫-৪০ শতাংশ। কিন্তু ধানের দাম পড়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বালুরঘাটে এক কুইন্টাল ধান বিক্রি হয়েছে তার আগের বছর ওই সময়ের দামের থেকে ২২ টাকা কম দামে, বর্ধমান সদরে ৪৫ টাকা কম দামে, ঘাটালে ২৮ টাকা কম দামে। বর্ধমান জেলার তিন মাসের হিসেব থেকে স্পষ্ট, গত দু’বছরের চাইতে দাম কম গিয়েছে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে।
দেখা যাচ্ছে, এ বার রাজ্যে বোরো চাষ হচ্ছে অর্ধেকেরও কম। গত বছর যেখানে ১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল, এ বার হয়েছে ছয় হেক্টর জমিতে। অন্য চাষও কমেছে। ‘অন্য বার এক বিঘে জমিতে সর্ষে লাগাই, এ বার লাগিয়েছি পাঁচ কাঠা জমিতে,’ বললেন বীরভূমের এক চাষি, যিনি পাঁচ বিঘে জমি চাষ করেন।
পাট চাষির কথাটা ভদ্র সমাজে তেমন ওঠেই না। কিন্তু তাদের অবস্থা ভয়ঙ্কর। কুইন্টাল প্রতি চাষের খরচ যেখানে ২৩০০ টাকা, সেখানে সরকারি সহায়ক মূল্য ছিল ১৬৭৫ টাকা। তা-ও চাষি পায়নি, ৯০০-১৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেছে ব্যবসায়ীদের কাছে। |
 |
বিষাদের নবান্ন। ছবি: অনির্বাণ সেন |
কলকাতায় এই সঙ্কটের দু-ধরনের ব্যাখ্যা শোনা যাচ্ছে। এক, এ হল ‘সাপ্লাই-ডিমান্ড প্রবলেম।’ এ বার ধান,পাট, দুটোই ভাল হয়েছে। বাজারে চাহিদার চাইতে জোগান বেশি। তাই এই দশা।
কিন্তু চাহিদা বজায় রাখতেই তো সরকার নিজে কিনতে নামে ধান-পাট। চাষির যাতে ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যই মাইনে দেওয়া হয় খাদ্য দফতর, ফুড কর্পোরেশন, বেনফেড-কনফেড প্রভৃতি কোঅপারেটিভ কর্তাদের। সরকার কেনে কয়েক হাজার কোটি টাকার ধান-পাট। তা হলে? তার উত্তর, এ হল ‘টিদিং প্রবলেম।’ এ বছরই সরকার শুরু করেছে এমন নিয়ম, যাতে চাষি সহায়ক মূল্য পুরোটা পায়। আড়তদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ধান কিনছে চালকল মালিক, সহায়ক মূল্যের চেক পাচ্ছে চাষি। এ বছর ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে, কিছু চেক বাউন্স করেছে, কিছু চাষি চেক পায়নি। আগামী বছর উন্নতি হবে নিশ্চয়ই।
কিন্তু কত চাষি চেক পেলেন? যে চাষিরা চেক চাইতেই যাননি, তাঁরা কেন গেলেন না? যাঁরা চেক পেলেন, তাঁরা নিজের উৎপাদনের কতটুকু সরকারি দরে বিক্রি করলেন? ক্ষতি হল কার? লাভ করল কে? এগুলো যদি না জানা থাকে, তা হলে কী করে এটা ধরে নেওয়া যায় যে, পরের বছর অন্য রকম হবে?
অন্য রকম হওয়ার শর্তগুলো পূরণ না করলে অন্য রকম হবে কেন?
এটাই সহজ প্রশ্ন। কিন্তু মন্ত্রী-আমলা-অধ্যাপকদের ঘরে সহজ প্রশ্ন হল অচল আধুলি। সেখানে ধরে নেওয়াই হয়, যেমন হওয়ার কথা তেমনই হচ্ছে, না হয়ে থাকলে খুব শিগগিরিই হবে। এক অধ্যাপক একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেছেন, ‘গত বছর ছিল ব্যতিক্রম। এ বছর চাষিদের বোরো চাষে ক্ষতির ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’ তা তো বটেই। যে চাষিরা চাষ করতেই পারেননি, তাঁদের আর ক্ষতির ভয়টা কী? মুশকিল হল, বঙ্গদেশের কৃষক হাসিম শেখ, রামা কৈবর্তরা সেই দলেই পড়েন। চালের দাম বাড়লে তাঁদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে না, বরং রেশন দোকানে হত্যে দিতে হয়।
এদের কী হবে, তা বুঝতে এ বছর যা যা ঘটল, তা একটু খুঁটিয়ে দেখতে হবে। বুঝতে হবে, কেন ক্ষতি হল চাষির।
|
এত দেরি কেন? |
চাষির প্রথম ক্ষতি সরকারি বিলম্বে। প্রান্তিক চাষির বিপন্নতা এখানেই যে, ধান সে ধরে রাখতে পারে না। যা উঠল, তার অন্তত একটা অংশ সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি না করতে পারলে ধার মেটানো, জরুরি খরচ, পরের চাষের বিনিয়োগ, সবটাই আটকে যায়। পৌষ সংক্রান্তির মধ্যে যথাযথ দামে বিক্রি করতে না পারলে অভাবী বিক্রিতেই যেতে হয় চাষিকে। আর প্রতি বছরই কোনও আশ্চর্য কারণে দেখা যায়, পৌষ সংক্রান্তি না পেরোলে সরকারি কেনায় কিছুতেই গতি আসে না। এ বছরও আসেনি। এটা ঠিকই যে, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি চাল সংগ্রহ হয়েছে। কিন্তু যত চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্য ছিল, তার কতটা সংগ্রহ করা গিয়েছে, সে প্রশ্ন করলে দেখা যাচ্ছে, দু’বছরই এই সময়ের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ চাল। অথচ তার এক মাস পরে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে দুই বছরেই সংগ্রহ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ চাল। মানে ধান ওঠার পর প্রথম পাঁচ-ছয় সপ্তাহে যত সংগ্রহ হয়, প্রায় ততটাই সংগ্রহ হয় পরের চার সপ্তাহে। পাটের ক্ষেত্রেও, পুজো নাগাদ পাট উঠলেও, জানুয়ারির মাঝামাঝি সরকারি খরিদ শুরু হয়েছে।
এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচুর ভর্তুকি গুনছে সরকার, কিন্তু বাজারই নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি ক্রয়কে। যখন দাম কম, তখন সরকার কিনছে কম। জানুয়ারির পর থেকে যখন ধানের বাজার ক্রমশ চড়ছে, তখন সরকারের ক্রয়ও বাড়ছে। এ বছর ধান কেনার পদ্ধতিতে যে সব বদল আনা হয়েছে, তা এই নকশায় কোনও পরিবর্তন আনতে পারেনি। এটা ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ নয়। অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু তাঁর গবেষণাপত্রে (২০১০) দেখিয়েছেন, যে বছরগুলো চাল-গমের দাম কম থাকে, সে বছর সরকারি খরিদ হয় কম, যে বছর দাম চড়া থাকে সে বছর হয় বেশি। আগামী বছর গরিব চাষির জন্য কেন অন্য রকম হবে, তার উত্তর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বরং কেন ব্যতিক্রম হবে না, তা বোঝা যাচ্ছে। সরকারের প্রত্যাশা, চালকল মালিক দেশপ্রেমের তাগিদে গরিব চাষিকে সহায়ক মূল্য দেবে, নিজের লাভের চিন্তা করবে না। ফলে রেশন দোকানে যা হয়, চালকলেও তাই নিজের লাভ কেটে রেখে চালকল মালিক টাকা দেয় আড়তদার, চাষিকে। যখন বাজারে ধান ৮৫০-৯০০ টাকা কুইন্টাল, তখন চালকল মালিক কেন সরকারি দর (১০৮০ টাকা) দেবে চাষিকে? সরকারের চালকল-নির্ভরতা চাষির ক্ষতি হওয়ার দ্বিতীয় কারণ।
চালকল মালিকের পক্ষে যা করা স্বাভাবিক, এ রাজ্যে সে তা-ই করেছে। সে চাষিকে নানা ভাবে নিরুৎসাহ করেছে ধান বিক্রিতে। আর ধান কিনলেও সরকারি দর দিয়েছে অল্প কিছু ধানের জন্য। এলাকায় একটা অলিখিত বোঝাপড়া হচ্ছে যে, চাষি-পিছু ১০ কি ১২ কুইন্টাল ধান সরকারি দরে কেনা হবে। বাড়তি ধান কেনা হচ্ছে বাজার দরে। সবাই জানে এমন ঘটছে, কিন্তু কাগজে-কলমে কোথাও কিছু লেখা নেই। চাষির ক্ষতির খতিয়ান রাখা মানে সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ রাখা।
|
ক্ষতির রাজনীতি |
চাষি আতান্তরে পড়ার আর একটি কারণ পঞ্চায়েত সরে যাওয়া। আগে পঞ্চায়েত পরচা দিত, ‘এটা অমুকের জমি, তমুক চাষ করেছে,’ তার ভিত্তিতে চাষির ধান কিনত চালকল। এখন পঞ্চায়েত ব্রাত্য। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার কেবল জমির দলিলকে চাষির প্রমাণ বলে মানছে। বি ডি ও-দের অনেকে অনুরোধ করছেন দলিলহীন চাষির পরিচিতির কোনও কাগজ দিতে, কিন্তু বি ডি ও গররাজি কাজটা বেআইনি হবে। আইনের ফের এমনই যে, যে ঘাম ঝরিয়ে, টাকা লাগিয়ে ফসল ফলাল, সরকারের দৃষ্টিতে সে আর ‘চাষি’ নয়।
আইন নয়, হাসিম শেখ, রামা কৈবর্তরা চিরকাল নির্ভর করেছে মানুষে-মানুষে সমঝোতার উপর। সরকারি বুলডোজার সেই সব বোঝাপড়া গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু চাষি পুরনো নকশা খুঁজছে। পরচা থাক আর না-থাক, ছোট চাষিরা যাচ্ছে আড়তদারের কাছে।
চাষির লাভ বাড়াতে আড়তদারকে বাদ দিতে হবে, বলে অর্থনীতি। কিন্তু সংবৎসর চাষির ‘মানি ম্যানেজমেন্ট’ করে কে? সংসার চালানোর টাকা, চাষের টাকা আগাম নেয় জুলাই-অগস্ট মাসে, শোধ করে ধান দিয়ে। দু’হাজার টাকা নিলে পাঁচ কুইন্টাল ধান, হিসেব শোনা যায় গ্রামে গেলে। আড়তদার ওজনে ঠকায়, দরও দেয় কম, কিন্তু হাতে-হাতে নগদ পাওয়ার তাগিদ ছোট চাষির এত বেশি, যে সে তা মেনে নেয়। এমনকী, যে আড়তদার কিছু কম দর দিচ্ছে তার কাছেও সে বিক্রি করতে রাজি হয়, যদি জানে প্রয়োজনে টাকা ধার পাওয়া যাবে। এমনকী চাষি টাকা জমাতেও চায় না, ধানের বাজার কেমন হবে তা আগাম বোঝার উপায় না-থাকলেও ধানই জমিয়ে রাখতে চায়। দরকার মতো ধান বিক্রি করে টাকা পেতে চায় হাতে। প্রান্তিক চাষি, ভাগচাষিদের অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের অযোগ্য, টাকা ম্যানেজ করতে অদক্ষ, এগুলো তাদের আড়তদার-নির্ভর হয়ে থাকার মস্ত কারণ। এই কথাগুলো হিসেবে না ধরে পুরো ব্যবস্থাটা ‘বেআইনি’ করার ফলে এ বছর চাষিদের পায়ের তলার মাটি আরও সরে গিয়েছে।
মাটি ফিরে পেতে পারত, যদি কৃষি কো-অপারেটিভগুলো সজীব, সক্রিয় হত। হয়েছে তার উলটো। কৃষি বিপণনে কোনও দিনই এ রাজ্যের সমবায়গুলো কিছু করে উঠতে পারেনি, চাষির থেকে ধান সংগ্রহ করে সরকারের কাছে দেওয়াই ছিল তার কাজ। এ বছর সেখানেও ফেল — বেনফেড, কনফেড-এর ভাঁড়ার শূন্য। ২০১০ সালে বাম সরকার কো-অপারেটিভদের থেকে আলু নিয়ে বিলিয়েছিল সস্তায়, টাকা শোধ করেনি। এই মুহূর্তে কো-অপারেটিভগুলোর কাছে সরকারের ১৮০ কোটি টাকা ঋণ। ওই টাকা ফেরত না পাওয়ায় বেনফেড, কনফেড প্রভৃতি এ বছর কোনও ব্যাঙ্কের কাছে ঋণ পায়নি। তাই চাষিদের থেকে অতি সামান্য ধান কিনতে পেরেছে তারা। গত বছরের অর্ধেক ধানও নয়। শহুরে বাবুদের পাতের আলুর মূল্য এ বছর চোকাল গ্রামের গরিব চাষিরা। ধনেপ্রাণে।
কিন্তু চাষির চোখে অসীম দাশগুপ্ত আর অমিত মিত্রের তফাত নেই। এক জন ভাঁড়ার শূন্য করে গেলেন, অন্য জন তার হিসেব তলব করলেন। কেউ চাষির টাকা চাষির জন্য ফিরিয়ে দিলেন না। ফলে সমবায় আশ্রয় করে বাঁচার পথটাও প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। চাষির ক্ষতির এটা চতুর্থ কারণ।
গ্রামে কী কী ঘটছে তা গ্রামের বালকও জানে। কিন্তু কলকাতা বা দিল্লির সরকারি কর্তারা জানেন, ফাইলে যা নেই, তা জগতেও নেই। তাই তাঁদের মাথা ঘামাতে হয় না, কেন ধান ওঠার পর চার-ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনেকখানি ধান কেনার ব্যবস্থা হয় না কোনও বছর। হিসেব রাখতে হয় না, কত ধান সত্যি সত্যি সরকারি দরে বিক্রি হল, কতটা ঢের কম দরে। কিংবা, কত চাষি সরকারি দর পাওয়ার শর্ত মেটাতে পারল না, পারবে না কখনও।
চুপ করে রাজনীতিও। চাষ কী করে আরও লাভজনক হবে, সেটা অর্থনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রশ্ন। কিন্তু প্রান্তিক চাষি, ভাগচাষি তার ফসলের জন্য সরকারি দর পাবে কি না, সেটা রাজনীতির প্রশ্ন। এ রাজ্যে রাজনীতি যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখানে চালকল মালিক, আড়তদার, সরকারি কর্মীর উলটো দিকে দাঁড়িয়ে ছোট চাষির জন্য কথা বলে কারও রাজনৈতিক ফায়দা নেই। তাই সে কথাগুলো বলা হচ্ছে না। বঙ্গদেশের কৃষক এ বছর বুঝেছে, ভোট দিয়ে সে যাকেই ক্ষমতায় আনুক, ‘আমরা-ওরা’ ভাগ সে করবেই। আর হাসিম শেখ, রামা কৈবর্ত বরাবরই থাকবে ‘ওরা’ হয়ে। |
|
|
 |
|
|