|
|
|
|
চাতরায় গুলির লড়াইয়ে নিহত চার মাওবাদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ঝাড়খণ্ডে চাতরা জেলার পিপরওয়ারে কাল গভীর রাতে মাওবাদী জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর তুমুল লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে চার জঙ্গির। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন সিআইএসএফের এক জওয়ান। রাঁচির রিমসে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়াও অল্পবিস্তর আঘাত লেগেছে জনা তিনেক পুলিশ কর্মীর। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র আইজি রাজকুমার মল্লিক জানিয়েছেন, নিহত চার জঙ্গির মধ্যে দু’জনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দু’টি দেহ নিয়ে জঙ্গিরা গভীর জঙ্গলে পালায়। তাদের তল্লাশি চলছে।
চাতরা জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ অতর্কিতে পিপরওয়ারে সিআইএসএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদী জঙ্গিরা। রাত এগারোটা থেকে টানা তিন ঘণ্টা জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি রাইফেল, ২৫০টি তাজা কার্তুজ, তিনটি গ্রেনেড, গোটা পাঁচেক কৌটোবোমা, এক জারিক্যান ভর্তি পেট্রোল, দুটি ওয়াকিটকি। মিলেছে প্রচুর মাওবাদী পোস্টারও।
চাতরা জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, আক্রমণকারী জঙ্গিরা দলে ছিল কমপক্ষে ৬০ জন। তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে তারা হামলা চালায়। সিআইএসএফ শিবিরের পাশাপাশি জঙ্গিদের আর একটি দল আক্রমণ চালায় সশস্ত্র পুলিশের শিবিরে। প্রায় একই সময়ে জঙ্গিদের তৃতীয় দলটি আক্রমণ করে পিপরওয়ারের একটি কয়লা খাদানে। জঙ্গিরা সেখানে তিনটি ড্যাম্পার-সহ গোটা পাঁচেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের একটি সূত্র থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মাওবাদীদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান শুরু হয়েছে। বিশেষ করে লাতেহার, গুমলা, পলামু, বোকারো, হাজারিবাগ, খুঁটি, চাতরা, সিমডেগা প্রভৃতি জেলায়। গত সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে জনা দশেক জঙ্গি-সহ ১৫ জন সক্রিয় মাওবাদী কর্মী-সমর্থক। উদ্ধার হয়েছে ডজনখানেক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বেশ কিছু বোমা এবং বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ। নিরবচ্ছিন্ন পুলিশি অভিযানের চাপ কাটাতেই মরিয়া হয়ে কাল জঙ্গিরা পাল্টা আক্রমণে নেমেছিল বলে অনুমান পুলিশের। |
|
|
|
|
|