|
|
|
|
লক্ষ্য ‘ভিশন ২০২০’, কথা আডবাণী-দীনেশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আসন্ন রেল বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভিশন ২০২০ ডকুমেন্ট’ বাস্তবায়িত করার জন্য সক্রিয় হয়েছেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। ভারতীয় রেলকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে নতুন রেলপথের সম্প্রসারণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, পণ্য করিডর-সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয় ‘ভিশন ২০২০’ ডকুমেন্টে। এ বারের রেল বাজেটে তারই প্রতিফলন থাকবে বলে রেল সূত্রের খবর। এগুলি বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে বিরোধীদেরও সহযোগিতা চান রেলমন্ত্রী। সে কারণেই আজ প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
রেল মন্ত্রক সূত্রে অবশ্য এ দিনের বৈঠককে নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হয়েছে। এর আগে লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী নেতা সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলির সঙ্গেও দেখা করেছেন দীনেশ। আগামিকাল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি ও লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারের সঙ্গে দেখা রেলমন্ত্রী দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু রেল বাজেট নয়, রেল মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি, আরপিএফ বিলটি নিয়ে যে ভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সুর চড়িয়েছে, তা প্রশমিত করতেই এই পদক্ষেপ করেছেন দীনেশ।
রেল হোক বা কেন্দ্রীয় বাজেট, সেটি পেশের সময় বিরোধীদের হইচই সংসদের চিরাচরিত দৃশ্য। বিশেষ করে নিজেদের এলাকার রেল প্রকল্প বাজেট বক্তৃতায় জায়গা না পেলেই বিরোধী শিবির রেলমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠে। গত বছর বিজেপি ও জেডিইউ-এর তরফে এমন ভাবে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা হয়েছিল যে, তিনি বেশ কয়েক বার বাজেট বক্তৃতা বন্ধ করে বসে পড়তে বাধ্য হন।
বিরোধী দলের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের ব্যাপারে অবশ্য আগেও উদ্যোগী হয়েছেন দীনেশ। এর আগে রেলের একটি অর্থ সংক্রান্ত বিল পাশ করানোর জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেতা সুষমা স্বরাজের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন দীনেশ। সে সময়ে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ, লোকপাল বিল-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধীরা সংসদ অচল করে রাখছিলেন।
সুষমা তাই প্রথম দিনে দীনেশকে বিলটি পেশ করতে বারণ করেন। যা মেনে নেন দীনেশ। পরের দিন সুষমার কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই বিলটি প্রথমে পেশ ও পরে পাশ করান তিনি। |
|
|
|
|
|