প্রেসিডেন্সিকে দলতন্ত্রমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উপরে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানে ছাত্র সংসদ অরাজনৈতিক হচ্ছে না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে-ভাবে ছাত্রভোটের কথা ভাবা হয়েছে, তাতে রাজনীতির ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা।
উপাচার্য মালবিকা সরকার সোমবার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ছাত্রদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। সকলেই প্রেসিডেন্সির পড়ুয়া হিসেবে নির্বাচনে লড়বে। কিন্তু কোনও ছাত্র যদি কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থক হয়, সেটা তার দোষ হিসেবে গণ্য হবে না।”
এর অর্থ হল, রাজ্যের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের নামে যে-ভাবে রাজনৈতিক রেষারেষি, ধারাবাহিক অশান্তি দেখা যায়, নবগঠিত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন এখন নিছক নামেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভোট। কার্যক্ষেত্রে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে বাইরের রাজনৈতিক দলগুলি। সূচনার সময় থেকেই যে-আশ্বাস মিলছিল, তাতে অন্তত প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে সেই বাইরের রাজনীতির নাক গলানোর সুযোগ থাকবে না বলেই আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানেও রাজনীতির দরজা খোলাই থাকছে। কেন?
এই প্রশ্নের জবাব আপাতত মিলছে না। প্রেসিডেন্সির উৎকর্ষের লক্ষ্যে মেন্টর গ্রুপ ইতিমধ্যেই একটি ‘রোডম্যাপ’ তৈরির চেষ্টা শুরু করেছে। কিন্তু ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে তারা এখনও কোনও রকম ভাবনাচিন্তা করেছে বলে শোনা যায়নি। অন্তত এই ব্যাপারে তাদের কোনও সুপারিশ সরকারের কাছে জমা পড়েনি। তবে উপাচার্য জানান, বহিরাগতেরা যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে না-পারেন, সেই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় সতর্ক থাকবে।
মালবিকাদেবী জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে বলে সোমবার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্সির প্রথম কাউন্সিল গত বছর ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন বিধি তৈরি করেছে। সেই নিয়ম মেনেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে। নির্বাচনের বন্দোবস্ত করার জন্য এ দিন পাঁচ সদস্যের কমিটিও গড়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। |