দিনের আলোয় একটি বুটিক থেকে কুড়িটি কুর্তা চুরি করে চম্পট দিল তিন মহিলা। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার এলগিন রোডের কাছে অ্যালেনবি রোডের একটি বুটিকে।
ওই বুটিকের মালিক বিদিশা দাস জানিয়েছেন, এ দিন বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ তিন মহিলা ওই দোকানে ঢোকে। বুটিকের তিন জন কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে কুর্তা দেখছিল তারা। কিছুক্ষণ পরে ওই কর্মীদের এক জন বিদিশাদেবীকে জানান, তাঁর নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে হচ্ছে। কিছু পরে আরও এক জন একই কথা বলেন। ততক্ষণে বিদিশাদেবীরও শরীর খারাপ লাগতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই তিন মহিলা চলে যায়। পরে আমরা জিনিসপত্র গোছাতে গিয়ে দেখি, কুড়িটি কুর্তা নেই। তখন মনে হল, ওদের হাতে তো প্লাস্টিকের ব্যাগ ছিল!”
ওই মহিলারা চলে যাওয়ার পরে দোকানের যে ঘরে তারা কুর্তা দেখছিল, সেখানে গিয়ে বিদিশাদেবী দেখেন, চকের গুঁড়োর মতো কিছু পড়ে রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বাতাসে মিলিয়ে যায়। বিদিশাদেবীর বুটিকের কর্মীরা তাঁকে বলেন, ওই তিন মহিলার এক জন এক একটি কুর্তা দেখে কিছু ঝেড়ে ফেলছিল। আর এক জন শুধু কথা বলে যাচ্ছিল। কিস্তিতে কেনা যায় কি না, এ সব জানতে চাইছিল। আর এক জন দোকানের অন্য এক কর্মীর কাছে জল খেতে চায়। তিনি ভিতর থেকে জল নিয়ে এসে দেখেন, ওই তিন মহিলা উধাও এবং তখন তাঁর শরীরেও অস্বস্তি শুরু হয়।
বিদিশাদেবী এবং ওই বুটিকের কর্মীদের ধারণা, ওই চকের গুঁড়োর মতো পদার্থটির জন্যই দমবন্ধ করা অস্বস্তি শুরু হয় সকলের। ওই তিন মহিলা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে তাঁরা একটু ধাতস্থ হন বলে জানান বিদিশাদেবী। এর পরে ভবানীপুর থানায় ঘটনাটির খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সব শুনে ওই তিন মহিলার চেহারা বর্ণনা চায়। বিদিশাদেবী জানান, তিন জনেই মাঝবয়সী। পরনে ছিল সস্তার ছাপা শাড়ি এবং এক জনের পায়ে প্লাস্টিকের জুতো ছিল। তাঁর দেওয়া বিবরণ থেকে পুলিশ মনে করছে, ওই তিন মহিলার চেহারা ওই দোকানে সাধারণত যে সব ক্রেতা আসেন, তাঁদের সঙ্গে মানানসই নয়। পুলিশ জানায়, ফের এক বার ভাল ভাবে ওই তিন মহিলার চেহারার বিবরণ শুনে ‘পোর্ট্রেট’ আঁকিয়ে দোকানের কর্মীদের দেখানো হবে। তা থেকে কোনও সূত্র বেরোলে তদন্ত শুরু হবে। |