|
|
|
|
বাজেট, ভোটের ফল নিয়ে আশঙ্কায় পড়ল সেনসেক্স |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
চূড়ান্ত অনিশ্চিত বাজারে সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই পড়ল শেয়ার বাজার। এই দিন সেনসেক্স পড়েছে ২৭৪.১২ অঙ্ক। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ১৭,৩৬২.৮৭ অঙ্কে।
শেয়ারের দামের পাশাপাশি এ দিন পড়েছে টাকার দামও। ডলারের তুলনায় টাকা পড়েছে ৩৪ পয়সা। বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৯.৮৪/৮৫ টাকা। গত দেড় মাসের মধ্যে টাকার দাম এতটা নীচে নামেনি। বিদেশি মুদ্রা বাজার সূত্রে খবর, এই দিন অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার পরিপ্রেক্ষিতেও ডলারের দাম বেড়েছে। যার বিরূপ প্রভাব টাকার উপর পড়েছে। তবে প্রধানত তেল আমদানির জন্য ডলারের চাহিদা বাড়াই টাকার পতনের কারণ।
বেশ কিছু দিন ধরেই শেয়ার বাজারে অনিশ্চয়তা চলছে। তবে এই ওঠা-পড়ার খেলায় পতনের পাল্লাই ভারী। গত সপ্তাহেই নিট হিসাবে সেনসেক্স পড়েছে ২৮৫ পয়েন্ট। এক আধ দিন বাজার এক লাফে অনেকটাই উঠেছে ঠিকই। কিন্তু অনিশ্চিত বাজারে শেয়ার হাতে ধরে রাখতে ভরসা পাচ্ছেন না লগ্নিকারীরা। ফলে কেনার অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তা বিক্রি করে লাভের টাকা তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। তবে বাজার সূত্রে খবর, ওই খেলা চালাচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি বড় মাপের লগ্নিকারী সংস্থা বা ব্যক্তি। অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষুদ্র লগ্নিকারীরা এর ফেরে পড়ে হাত পোড়াচ্ছেন। তাই বিশেষজ্ঞদের অনেকের পরামর্শ, বাজারের প্রতি নজর রেখে আপাতত বাজার থেকে দূরে থাকুন সাধারণ লগ্নিকারীরা। যে সমস্ত কারণে বাজার পড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
• আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে জল্পনা
• ভোটের ফল নিয়ে আশঙ্কা
• চিনে আর্থিক বৃদ্ধি কমার ইঙ্গিত
• বিশ্বে মন্দা ভাব ও তেলের মূল্যবৃদ্ধি
বাজেটের আগে বাজার ওঠার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। তাঁদের আশা, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেবেন। তার পর বাজারের দৌড় শুরু হওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, “দেশের আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা করতে বাজেটে এ বার অর্থমন্ত্রীকে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে হবে। তা হলে শেয়ার বাজার হু হু করে উপরে উঠবে বলেই আমার বিশ্বাস। তবে, তার আগে সেনসেক্স ১৬ হাজারের ঘরে নামলেও অবাক হব না।”
আজ উত্তর প্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। যা বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। ফল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গেলে বাজার খুশি হতে পারে বলেও ধারণা তাঁদের অনেকের। তবে ভোটের ফলাফল বাজারে বড় প্রভাব ফেলবে বলে অবশ্য তাঁরা কেউই মনে করছেন না।
এ দিন পতনের তাৎক্ষণিক কারণ হিসাবে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানোকেই দায়ী করেছে বাজার মহল। গত সাত বছরের মধ্যে এই প্রথম লক্ষ্যমাত্রা কমাল তারা। উন্নত দুনিয়ায় মন্দার ছায়া, তার জেরে রফতানি তলানিতে এসে ঠেকা, ইত্যাদি কারণেই বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৭.৫% করেছে চিন। এর বিরূপ প্রভাবই পড়েছে সারা এশিয়ার বাজারে। প্রসঙ্গত, গত বছর চিনের বৃদ্ধির হার ৮% ছুঁয়েছিল। ওএনজিসি-র শেয়ার নিলাম। রাষ্ট্রায়ত্ত ওএনজিসি-র ৫% শেয়ার নিলামে এলআইসি ৩৭.৭১ কোটি (৮৪%) শেয়ার কিনে নিয়েছিল। বিএসই-র কাছে এক বিবৃতিতে সংস্থা সোমবার এ কথা জানিয়েছে। এর জেরে এলআইসি-র হাতে এখন রয়েছে তাদের ৯.৪৮% শেয়ার। নিলামটি এলআইসি-র হাত ধরেই উতরে যায়। |
|
|
|
|
|