আগুন লেগে ভস্মীভূত হল ১৭টি দোকান। সোমবার সকালে বার্নপুর ডেলি মার্কেট সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। দমকলের তরফে জানানো হয়, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ডেলি মার্কেট সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি বন্ধ দোকানের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েকটি দোকানে। এই দোকানগুলির প্রায় সব ক’টিতেই রয়েছে পলিথিনের ছাউনি। সে কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, আগুন যখন ছড়িয়ে পড়ছে, সেই সময়ে সেখানে হাজির হন আসানসোলের তিন স্বেচ্ছাসেবক পুলিশকর্মী। তাঁরা প্রথমে পলিথিনের ছাউনিগুলি টেনে নামিয়ে ফেলেন। তার পরে ফোন করে থানা ও দমকলে খবর দেন। স্বেচ্ছাসেবক পুলিশকর্মী অলোক চৌধুরী বলেন, “আমরা কাছেই ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পেয়ে আমরা ছুটে আসি। পলিথিনগুলো সরিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম বলে আগুন বিশেষ ছড়াতে পারেনি।” ওই তিন পুলিশকর্মীর সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান এলাকাবাসী ও দোকান মালিকেরাও। |
মাস দেড়েক আগেই ভয়াবহ আগুন লেগেছিল বার্নপুরের ডেলি মার্কেটে। সে বার পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় দু’শোটি দোকান। দোকান মালিকেরা জানান, পরপর এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। এ দিন অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে ইস্কো কারখানা থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেই ইঞ্জিনটি কাজ শুরু করার পরেই রাজ্য দমকলের আরও দু’টি ইঞ্জিন সেখানে চলে আসে। ঘন্টা দু’য়েকের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে। আসানসোলের দমকলের ওসি সেলিম জাভেদ জানান, তাঁরা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। কী কারণে এই আগুন লাগল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান ওসি। প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।
এ দিনের আগুনে বহু টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মালিকেরা। একটি প্রসাধন সামগ্রীর দোকানের মালিক বীরেন্দ্র শর্মার দাবি, তাঁর প্রায় লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি পুড়ে গিয়েছে। জুতোর দোকানের মালিক কাশিফ হোসেন জানান, বেশির ভাগ জিনিস পুড়ে গিয়েছে। খুব সামান্যই বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। পুড়ে গিয়েছে কয়েকটি কাপড় এবং পলিথিনের জিনিসপত্রের দোকানও। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক। |