পুলিশ এক সিপিএম সমর্থককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করায় জামুড়িয়া থানায় বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। তৃণমূল আবার গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।
সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার সকালে চুরুলিয়ার শিয়ালডাঙা থেকে তাদের সমর্থক নন্দ রুইদাসকে জামুড়িয়া থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয়। দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরে তৃণমূলের লোকজন এসে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালে দুপুর ২টো নাগাদ তাঁকে লকআপেও ঢোকানো হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানের নেতৃত্বে দলীয় সমর্থকেরা থানা চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। এর পরে নন্দকে ছেড়ে দেওয়া হয়। |
পুলিশ অবশ্য নন্দকে লকআপে ঢোকানোর কথা স্বীকার করেনি। আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “গণ্ডগোলের খবর পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নন্দবাবুকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
নন্দবাবুর অভিযোগ, গত ৩ জানুয়ারি জামুড়িয়া শহর জোনাল কমিটির উদ্যোগে একটি মিছিল করে সিপিএম। সেই মিছিলে যাওয়ার ‘অপরাধে’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা ব্রজনারায়ণ রায়ের নেতৃত্বে এলাকার একটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নন্দবাবু গিয়ে তালা খোলেন। তার জেরে এ দিন সকালে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়।
জামুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি পূর্ণশশী রায়ের দাবি, সেই দিন ব্রজবাবু এলাকাতেই ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, সকালে নন্দবাবুই শিয়ালডাঙায় তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে কটূক্তি করছিলেন ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন। তাই দলের তরফে থানায় ফোন করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তাঁরা। প্রদেশ তৃণমূলের সদস্য হারাধন ভট্টাচার্য বলেন, “নন্দ রুইদাস কয়লাচোর। তাঁর ভাইপো কালোসোনা রুইদাস এলাকার কয়লাচোরদের পাণ্ডা ছিল। ২০০৮-এ পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী গোষ্ঠীর হাতে খুন হয় সে।”
সিপিএমের অজয় জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্ত অবশ্য বলেন, “কয়লাচুরি সংক্রান্ত কোনও মামলায় পুলিশ নন্দকে ধরলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। কিন্তু বিনা অপরাধে তাঁকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে আটক করা কোনও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়।” |