ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃত শ্রমিকের দেহ নিয়ে কারখানায় বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের ওই বেসরকারি কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ না আসায় সোমবার দিনভর বিক্ষোভ চলে। পরে এ দিন বিকেলে কোকওভেন থানার পুলিশ গিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলে বিক্ষোভ থামে।
রবিবার ওই বেসরকারি লোহার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানার ছাদ সংস্কার করার সময় উঁচু থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ঠিকাশ্রমিক কুশকুমার রাজভরের। ছাদের বিমের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে তাঁর শরীর বাঁধা না থাকায় প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করালে কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিকে দুর্ঘটনার পরেই কারখানার বাকি কর্মীরা একজোট হন। তাঁরা অভিযোগ করতে থাকেন, এই কারখানায় নূন্যতম শিল্প নিরাপত্তা বিধি মানা হয় না। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তবে রবিবার, ছুটির দিন হওয়ায় কারখানায় কোনও আধিকারিক ছিলেন না। |
সোমবার সকালে শ্রমিকেরা কারখানায় মৃত ঠিকাশ্রমিকের দেহ নিয়ে গিয়ে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতের পরিবারকে আইনানুগ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। কারখানার আইএনটিইউসি নেতা কাঞ্চন কর্মকার, আইএনটিটিইউসি নেতা স্বরূপ মণ্ডল এবং সিটু নেতা তপন বাগ জানান, ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট আশ্বাস না দিলে বিক্ষোভ চলবে। যত দ্রুত সম্ভব মৃতের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ টাকা তুলে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তবে সারা দিন কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও দেখা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ থামাতে কারখানায় পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দেয় তারা। এর পরেই বিক্ষোভ থামে।
এ দিকে, সোমবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে কারখানার এক আধিকারিক দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং কর্মী সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দু’তিন দিনের মধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। |