|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৭ ফেব্রুয়ারি - ৩ মার্চ |
|
প্যারিস ওয়াশিংটন ওয়াশিংটন কায়রো ইন্ডিয়ানাপলিস |
|
• ইউরোপে কোনও দেশ আর্থিক বিপদে পড়লেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাওয়াই: খরচাপাতি কমাও। কথা না শুনলে ই ই মোটেই সাহায্য করবে না। ফলে, সব দেশকেই খরচা কমানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে। আর তাতে মানুষের মনে রাগ জমছে। গোটা ইউরোপ জুড়ে সেই রাগের বিস্ফোরণ ঘটল। স্পেনের বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নামলেন ছাত্রসহ অজস্র মানুষ। গ্রিসে কর্মবিরতি পালিত হল। বিক্ষোভ হল প্যারিস, লিসবন, ব্রাসেলসেও। ব্রাসেলসেই ছিল ইউনিয়নের বৈঠক, আরও কঠোর আর্থিক নীতির কথা নিয়ে আলোচনা হল সেখানে।
|
• আরও দুটি প্রদেশে জয় পেয়ে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দিকে আরও একটু এগিয়ে গেলেন মিট রমনি। এ বার জয় মিশিগান ও আরিজোনায়। সামনেই ‘সুপার টিউইসডে’, মহা-মঙ্গলবার, যে দিন দেশের দশটি রাজ্যে প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হবে।
• মিশরের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নেতা বা স্পিকার নির্বাচন হল গত সপ্তাহে। তাতে ইসলামিক ব্রাদারহুড-এর অন্তর্গত ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির মৌলবাদী নেতা নির্বাচিত হলেন।
• ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, ওহায়ো: তিনটি মার্কিন প্রদেশ বিধ্বস্ত টর্নেডো ঝড়ে। শ-খানেক মানুষ মৃত। ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। ইন্ডিয়ানার গভর্নর বলছেন, প্রকৃতি দেবী রুষ্ট আমাদের হাত-পা বাঁধা। অবাক কাণ্ড। এমন পরাজয়বাদী কথা তো এ দেশে শোনা যায় বলেই জানা! ও দেশেও?
|
• এখনই ইরানকে আক্রমণ করা ভুল, কারণ তা হলেই তারা শহিদ হওয়ার সুযোগ পাবে, সহানুভূতি আদায় করবে। বক্তা বারাক ওবামা। ইজরায়েলের নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মার্কিন সফরের ঠিক আগে আক্রমণাত্মক মেজাজে ওবামা। বললেন, ‘যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি বলি যে ইরানের পরমাণু শক্তিধর হওয়া চলবে না, তখন সেটাই আমেরিকার অবস্থান। আশা করি, ইরান কথাটা বুঝবে। |
|
লস এঞ্জেলস ও তেহরান |
|
অস্কার পুরস্কার উৎসব এ বার ইতিহাস তৈরি করল। শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার পেল ইরানের ছবি, পরিচালক আশগর ফারহাদির (ছবি) ‘আ সেপারেশন’। ইরানের প্রথম তো বটেই, পশ্চিম এশিয়ার কোনও দেশের পক্ষেও এই প্রথম এই পুরস্কার। এই মুহর্তে ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমি দেশগুলি যখন রাগে এককাট্টা, ইজরায়েল যখন যুদ্ধ-যুদ্ধ রবও তুলে ফেলেছে, এমন সময়ে এই পুরস্কার ইরানের অন্য পরিচয় নিয়ে এল সামনে, ফারহাদি-র ভাষায়, রাজনীতির ধুলোর নীচে যে একটা অন্য ইরান আছে, তার কথা বলল এই ছবি। ইরানে স্যাটেলাইট টিভি নিষিদ্ধ, তাই ইরানিরা সে দিন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন বেআইনি স্যাটেলাইট-সংযোগের উপর। ও হ্যাঁ, পুরস্কার অনুষ্ঠানে সে দিন ইহুদিরাও ভিড় করে এসেছিলেন, কেননা বিদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে ইরানের ছবিটির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইজরায়েলের একটি ছবি! |
লাসা ও বেজিং |
তিব্বতের বৌদ্ধ মঠে বুদ্ধের মূর্তির পাশেই বেমালুম শোভা পাচ্ছে মাও জে দং ও দেশের বর্তমান সর্বোচ্চ নায়ক হু জিনতাওয়ের ছবি। আ ছি ছি, ধর্মস্থানে কমিউনিস্ট পার্টির মহামহোপাধ্যায়গণ? রেড বুক অশুদ্ধ হয়ে যাবে যে! মা ভৈঃ, পার্টির কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ১৯৪৯ সালে তিব্বতের ‘শান্তিপূর্ণ বিপ্লব’-এর মাধ্যমে তিব্বতিদের দাসত্ব থেকে মুক্তির ইতিহাস উদ্যাপন করছেন, তাই মুক্তিদাতাদের ছবি। লাসায় রেড আর্মি পাঠিয়ে তিব্বত দখল করে সেখানকার মানুষকে পরম মুক্তি দিয়েছিলেন মাও জে দং, এ বার হয়তো তিব্বতের ঘরে ঘরে পার্টিনেতাদের ছবির পুজো করতে হবে। মন্ত্র পড়তে হবে: চিনের দেবতা, আমাদের দেবতা।
|
তেহরান |
সুসজ্জিত অ্যাপার্টমেন্টে এক মাঝবয়সী মানুষ, তিনি ফোনে কথা বলেন, ভিডিয়োয় নিজেরই তৈরি কিছু পুরনো ছবি দেখেন, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ, কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই তিনি খুব সুস্থিত, প্রশান্তও। ৭৫ মিনিটের এই ‘ছবি’র শিরোনাম: দিস ইজ নট আ ফিল্ম। আসলে এটা একটা প্রতিবাদ। ইরানের সরকার সে দেশের বিশ্ববন্দিত পরিচালক জাফর পানাহির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, ছবিও তৈরি করতে পারবেন না। জবাবে পানাহি আইফোন এবং একটি ছোট ক্যামেরা ব্যবহার করে এই না-ছবিটি (তারই দৃশ্যের সামনে পানাহি) তৈরি করেছেন। এই অভিনব সৃষ্টির মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর প্রতিবাদ জানালেন। দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই তরঙ্গ তুলেছে এই কাজটি।
|
বস্টন |
রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যাম বাড়লেই ডানা মেলে গাড়ি আকাশে উঠে গেল। ঘণ্টায় ১১০ মাইল স্পিডে উড়ে ঠিক অফিসের সামনে ল্যান্ড করল। উঁহু, কল্পবিজ্ঞান নয়, এমন উড়ুক্কু গাড়ি সত্যিই বাজারে আসছে। এক ধাক্কায় ৪৬০ মাইল উড়তে পারে গাড়িটি। ম্যাসাচুসেটস-এর সংস্থা টেরাফুগিয়া তৈরি করেছে এই গাড়ি, যার খটোমটো নাম ‘ট্রানজিশন রোডেবল এয়ারক্রাফ্ট’। দাম? তিন লক্ষ ডলার।
|
শেষ পাত |
সেন্ট পিটার্সবার্গ-এর কাছে ‘ভার্জিন অব তিখভিন’ নামে খ্যাত এক প্রাচীন মূর্তি আছে। রাশিয়ার জারেরা নাকি এই মূর্তির কাছে গিয়ে আশীর্বাদ চাইতেন। যাননি শুধু দ্বিতীয় নিকোলাস। তিনিই শেষ জার, ১৯১৮ সালে বলশেভিক বিপ্লবের পরে নিহত হন। রাশিয়ায় আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভ্লাদিমির পুতিন সেই নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনিই জিতবেন, কারও সন্দেহ নেই। তবু, ভারতীয় নেতারা যেমন ভোট এলেই মন্দিরে দৌড়ন, রকমারি বাবা ও মাতাজির চরণতলে সাষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়েন, নতুন রাশিয়ার নতুন ‘জার’ও তেমনই বার পাঁচেক সেই জাগ্রত দেবীর কাছে ঘুরে এলেন। অতিভক্তির মার নেই |
|
|
|
|
|