মুখ্যমন্ত্রী কেন শনিবারের বসন্ত-বিকালে গাঙ্গুলিবাগান হইতে যাদবপুর এইচ বি পর্যন্ত মিছিল করিলেন? কারণটি যাঁহাদের চোখে আঙুল দিয়া দেখাইয়া দিতে হয়, সন্দেহ নাই, তাঁহারা বামফ্রন্টের জমানায় বড় হইয়াছেন, ফলে বোধবুদ্ধি তেমন একটা হয় নাই। বসন্ত-বিকালের চমৎকার হাওয়ায় মন-মেজাজ তর হইয়া যায়। যে কোনও অনুভূতিসম্পন্ন মানুষেরই এই হাওয়ায় হাঁটিতে বাহির হওয়া উচিত। রাজ্যের এক মন্ত্রী বলিয়াছেন, মুখ্যমন্ত্রী হাঁটিবেন, এই খবরটিই যথেষ্ট কর্মীরা যথসময়ে হাজির হইয়া যাইবেন। যাঁহারা দূরে থাকেন, তাঁহারা বাসে-মাটাডোরে চাপিয়া আসিবেন। তাহার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর হণ্টন একটি মিছিলের চেহারা লইবে। আসল কথা বায়ুসেবন। এক বামপন্থী নেতা ভারী উচ্ছ্বসিত হইয়া বলিয়াছেন, তৃণমূল নাকি ফলো-অন করিতেছে সি পি আই এম-এর এক মিছিলের উত্তরে তাহাদের দুইটি মিছিল। যে কোনও ছয় বৎসর বয়সি বালকও বুঝিবে, ফলো-অনের ন্যায় আরাম আর কিছুতে নাই। অন্যরা খাটিয়া মরিবে, আর ব্যাটিংয়ের আনন্দ শুধু ফলো-অনকারীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই হিসাবটি গোড়াতেই বুঝিয়া লইয়াছেন। একে বসন্তের দখিনা বাতাস, তায় উপর্যুপরি ব্যাটিংয়ের আনন্দ পরের শনিবারও মিছিল হইলে আশ্চর্য হওয়ার কারণ নাই। |