ভিআইপি রোড জুড়ে সিপিএমের দীর্ঘ মিছিল। রাস্তায় আটকে অজস্র মানুষ। বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁদের ঠায় বসে থাকতে হল গাড়িতে, বাসে। বহু বিমানযাত্রী সময় মতো বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেননি। উড়ানও ধরতে পারেননি বেশ কয়েক জন।
এমন যে হতে পারে তা আশঙ্কা করে জেট, ইন্ডিগো-র মতো বিমানসংস্থা দুপুরেই যাত্রীদের সজাগ করে দেয়। বিমানসংস্থার এক কর্তার কথায়, “আমাদের আশঙ্কা ছিল, সাড়ে পাঁচটার পরের উড়ানগুলির যাত্রীরা আটকে পড়তে পারেন। তাই দুপুর দেড়টা থেকে আমরা মোবাইলে বার্তা পাঠাতে শুরু করি।” সাধারণত অভ্যন্তরীণ উড়ানের ক্ষেত্রে দু’ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এ দিন আরও আগে চলে আসতে বলা হয়। দুপুরে স্থানীয় পুলিশের তরফেও বিমানসংস্থাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাইলট ও বিমান সেবিকাদেরও তাড়াতাড়ি বিমানবন্দরে নিয়ে আসতে বলা হয়। |
তা সত্ত্বেও বেশ কয়েক জন যাত্রী সন্ধ্যার কিছু উড়ান ধরতে পারেননি। সন্ধ্যায় ইন্ডিগোর হায়দরাবাদ, মুম্বই, জেট এর মুম্বই, এয়ার ইন্ডিয়ার চেন্নাই, মুম্বই উড়ান ছিল। প্রধানত এই উড়ানগুলি ধরতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। উড়ান ধরতে না পারা অনেককে অন্য সংস্থার উড়ানে এ দিনই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। কয়েক জন রবিবার যাবেন বলে মনস্থ করেন। নিয়ম অনুযায়ী বিমান ছাড়ার ঠিক ৪৫ মিনিট আগে চেক-ইন কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরে আর বোর্ডিং কার্ড দিতে পারে না বিমানসংস্থা। যাঁরা নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করেন, তাঁরা এ তথ্য জানেন। এ দিন তাঁদের অনেকেই রাস্তা থেকে ফোন করতে শুরু করেন বিমানবন্দরে। অনুরোধ করেন, আগে থেকে যাতে তাঁদের বোর্ডিং কার্ড করিয়ে রাখা হয়।
এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় এমিরেটসের উড়ান ছাড়ে। আন্তর্জাতিক উড়ান ধরতে তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে ঢোকার কথা। কিন্তু, দুবাইগামী বেশ কিছু যাত্রী এ দিন মিছিলের যানজটে পড়ে দেরি করে আসেন। তবে তাঁরা সবাই শেষ পর্যন্ত উড়ান ধরতে পেরেছেন বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। |