নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
মেরামতির সময়ে বিদ্যুতের সাব স্টেশনের যন্ত্রাংশে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হলে গুরুতর জখম হলেন চার ইঞ্জিনিয়র। শুক্রবার বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালবাজারের চালসায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ট্রান্সমিশন কোম্পানির ১৩২ কেভি সাব স্টেশনে। গুরুতর জখম ওই চার ইঞ্জিনিয়রকে শিলিগুড়িতে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। পরে দফতরের আধিকারিকেরা তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করেন। জলপাইগুড়ি বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের টিএসএল-র সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুপ্রিয় সিংহ বলেন, “শিলিগুড়ির দফতর থেকে চার বাস্তুকার শুক্রবারই যন্ত্রাংশ পরীক্ষার জন্যে চালসাতে যান। সেখানে পোটেনসিয়াল ট্রান্সফরমারের গিয়ার পরীক্ষা করতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়। গিয়ারের ভিতরে আগুন ধরে গিয়ে তা মূহুর্তের মধ্যে ফেটে যায়। বিদ্যুতের তারও ছিঁড়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন চার বাস্তুকার।” সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত বাস্তুকারেরা হলেন জয়দীপ সেনগুপ্ত, শিবুপদ দাস, প্রতাপ কুমার প্রামাণিক এবং দেবব্রত বণিক। জখম চারজনকে প্রথমে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে তাঁদের শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জখমদের মধ্যে প্রতাপ কুমার প্রামানিক, জয়দীপ দাশগুপ্ত এই দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জয়দীপবাবুর মুখের বেশ কিছু অংশও পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যন্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে স্বয়ং বাস্তুকারদের এমন দূর্ঘটনার মুখে পড়তে হল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুপ্রিয়বাবু বলেন, “কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা দেখা হচ্ছে।” চালসার ওই দফতরের একাংশ কর্মী জানান, বিস্ফোরণের মত শব্দে গিয়ার বক্স ফেটে যায়। জ্বলন্ত গিয়ারের টুকরো বাস্তুকারদের কারও মুখে কারও পিঠে গিয়ে লাগে। ১৩২ কেভির চালসা সাব স্টেশন উত্তরবঙ্গের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাব স্টেশন। বহুদিন ধরে এটির বেহাল দশা নিয়েও সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চালসা সাব স্টেশনের উপর চাপ কমাতে সম্প্রতি মালবাজারেও একটি সাব স্টেশন তৈরির দাবিও তোলা হয়। বিদ্যুৎ দফতর, টিসিএলের উদাসীনতার জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। |