দোলের আগে বকেয়া মিলবে না মধু চা বাগানে, ঘোষণা
ছয় ম্যানেজারকে হাঁটালেন শ্রমিকেরা
র্ধিত মজুরির বকেয়া ১৭০০ টাকা দোলের আগেই মেটানোর কথা ছিল ডুয়ার্সের মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষের। চা বাগানের আর্থিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বকেয়া মেটানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা আলোচনার জন্য ৬ ম্যানেজারকে হেঁটে হাসিমারা ফাঁড়িতে যেতে বাধ্য করলেন। শুক্রবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানে। ফাঁড়িতে আলোচনার পরেও অবশ্য সমস্যা মেটেনি। প্রধান ম্যানেজার রাজেন বর্মা বকেয়ার মেটানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত বক্তব্য জানানোর জন্য ৬ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। কিন্তু যেভাবে এ দিন চা বাগানের ৬ ম্যানেজারকে হেনস্থা করা হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন চা বাগান কর্তৃপক্ষ। মধু চা বাগানের ম্যানেজার রাজেন বর্মা জানান, চা বাগানের অবস্থা খারাপ। তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন জানুয়ারি থেকে তিন মাস মাসে ৩০০ টাকা ও রেশন দেওয়া হবে। বেতনের বকেয়া জুন জুলাই মাসে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “বাগানের অবস্থা খারাপ থাকায় এখন ১০০ দিনের কাজ চলছে। বর্ধিত বেতনের বকেয়া মালিকপক্ষ এখনই দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন। আগাম আলোচনা না-করেই এদিন শ্রমিকরা আমাদের চা বাগান থেকে হাঁটিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। কয়েকজন ম্যানেজারকে বাগানে ঢুকতে দেবেন না বলেও ভয় দেখানো হয়েছে।
ছবি: নারায়ণ দে।
আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” সহকারী শ্রম অধিকর্তা সুমন্ত শেখর রায় জানান, বিষয়টি এখনও তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ গত বছরের এপ্রিল মাসে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হয়। সেই সময় সমস্ত বাগানে পৃথক ভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি হয়। মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ চুক্তির সময়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুই কিস্তিতে বর্ধিত মজুরির বকেয়া মোট ২২০০ টাকা মেটাবেন। প্রথম কিস্তি ২০১১ সালের ২৫ ডিসেম্বরের আগে, বাকিটা ২০১২ সালের দোলের আগে বর্ধিত মজুরি হিসেবে ১১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রথম কিস্তির ১১০০ টাকার বদলে মাত্র ৫০০ টাকা দেন। সেই হিসেবে দ্বিতীয় কিস্তির ১১০০ টাকা ও বকেয়া ৬০০ টাকা মিলে ১৭০০ টাকা দোলের আগে শ্রমিকদের পাওয়ার কথা। মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ এখন টাকা দিতে পারবেন না বলে বলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ দিন হাসিমারা ফাঁড়িতে আলোচনায় অংশ নেন আলিপুরদুয়ারের আরএসপি সাংসদ মনোহর তিরকি, এন ইউ পি ডব্লিউ নেতা প্রভাত মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। আরএসপি সাংসদ বলেন, “এদিন উত্তেজিত শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ম্যানেজারকে হাঁটিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে আলোচনা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র আপাতত বের হয়নি।” এন ইউ পি ডব্লিউয়ের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের মতে, এ ঘটনায় শ্রমিকদের দায়ী করা যাবে না। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরির পরিবর্তে মাসে ৩০০ টাকা করে দিচ্ছেন। তার উপর দোলের সময় বকেয়া টাকা মিলবে না জেনে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কবে মিলবে সে ব্যাপারে মালিক পক্ষকে ৬ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “শ্রমিকদের যে কোনও দাবিদাওয়া থাকতেই পারে। তবে এদিন যা হয়েছে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। আলোচনা করে বিষয়টি মেটানো উচিত ছিল।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.