নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” সহকারী শ্রম অধিকর্তা সুমন্ত শেখর রায় জানান, বিষয়টি এখনও তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ গত বছরের এপ্রিল মাসে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হয়। সেই সময় সমস্ত বাগানে পৃথক ভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি হয়। মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ চুক্তির সময়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুই কিস্তিতে বর্ধিত মজুরির বকেয়া মোট ২২০০ টাকা মেটাবেন। প্রথম কিস্তি ২০১১ সালের ২৫ ডিসেম্বরের আগে, বাকিটা ২০১২ সালের দোলের আগে বর্ধিত মজুরি হিসেবে ১১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রথম কিস্তির ১১০০ টাকার বদলে মাত্র ৫০০ টাকা দেন। সেই হিসেবে দ্বিতীয় কিস্তির ১১০০ টাকা ও বকেয়া ৬০০ টাকা মিলে ১৭০০ টাকা দোলের আগে শ্রমিকদের পাওয়ার কথা। মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ এখন টাকা দিতে পারবেন না বলে বলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ দিন হাসিমারা ফাঁড়িতে আলোচনায় অংশ নেন আলিপুরদুয়ারের আরএসপি সাংসদ মনোহর তিরকি, এন ইউ পি ডব্লিউ নেতা প্রভাত মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। আরএসপি সাংসদ বলেন, “এদিন উত্তেজিত শ্রমিকরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ম্যানেজারকে হাঁটিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে আলোচনা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র আপাতত বের হয়নি।” এন ইউ পি ডব্লিউয়ের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের মতে, এ ঘটনায় শ্রমিকদের দায়ী করা যাবে না। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরির পরিবর্তে মাসে ৩০০ টাকা করে দিচ্ছেন। তার উপর দোলের সময় বকেয়া টাকা মিলবে না জেনে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কবে মিলবে সে ব্যাপারে মালিক পক্ষকে ৬ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “শ্রমিকদের যে কোনও দাবিদাওয়া থাকতেই পারে। তবে এদিন যা হয়েছে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। আলোচনা করে বিষয়টি মেটানো উচিত ছিল।” |