নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কৃষ্ণবাবুর ওই বক্তব্য অবশ্য মানতে রাজি নন ওই ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলর প্রীতিকণা বিশ্বাস এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিন এলাকার বাসিন্দা রেখা ঘোষ, নিরুপমা পরামানিক, কল্পনা দাসদের মতো মহিলারা পুরসভার স্মারকলিপি দেন। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যাচক্র কলোনি এবং জনতা নগর কলোনির শেষ অংশে মহানন্দার ধারে আশিঘাট রোড রয়েছে। ওই রাস্তার জায়গা আটকে দলীয় র্কাযালয় করা হচ্ছে। ওই রাস্তা দিয়ে নদী থেকে গাড়ি করে বালিপাথর তোলা হয়। রাস্তার ধার দিয়ে একটি কাঁচা ড্রেন ছিল। বর্তমানে তা পাকা করা হয়েছে। ওই নর্দমা এবং রাস্তার জায়গা আটকে কিছু তৃণমূল সমর্থক সম্প্রতি দলীয় ঝাণ্ডা লাগান। সেখানে পার্টি অফিস তৈরি করবেন বলে ঘোষণা করে ঝাণ্ডা তুলতে নিষেধ করেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরসভার মাসিক সভায় কাউন্সিলর ওই অভিযোগ তোলেন। কৃষ্ণবাবুকে তার উত্তর দিতে বলা হলেও তিনি সদুত্তর দেননি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সমর্থকেরা সেখানে বাঁশ পুঁতে দলীয় কার্যালয় তৈরি শুরু করে। কল্পনা দেবীরা বলেন, “আমাদের মতো মহিলারা বাধা দিতে গেলে গালিগালাজ করা হয়। তার পরেও বাধা দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এখানে পার্টি অফিস হলে এলাকায় বসবাসের পরিবেশ নষ্ট হবে।”
কৃষ্ণবাবু দাবি করেন, পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে প্রীতিকণা দেবী পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছে বলে কোন অভিযোগ জানাননি। প্রীতিকণা দেবীর অভিযোগ, “পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে রাস্তার জায়গায় ঝাণ্ডা লাগানোর অভিযোগ তুলেছিলাম। কোনও সদুত্তর মেলেনি। বৃহস্পতিবার বাঁশ পুঁতে পার্টি অফিস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে দেখে মেয়রকে অভিযোগ জানিয়েছি।” |