নাশকতামূলক কাজে অভিযুক্ত জনগণের কমিটির সারেঙ্গা ব্লক সভাপতি গোপাল প্রতিহার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালড্যাংরা থানায় আত্মসমর্পণ করলেন। সারেঙ্গা থানার মাকড়কোল গ্রামের বাসিন্দা গোপালবাবুকে দীর্ঘ দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। জনগণের কমিটির ওই ‘ফেরার’ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। থানায় আত্মসমর্পণের পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাঁকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ৮ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “২০০৯ সালে ২৮ জুন সারেঙ্গার কার্গিল মোড় থেকে বেলেপাল যাওয়ার রাস্তায় ল্যান্ডমাইন পোঁতা, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বারিকুল থানা আক্রমণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে গোপাল প্রতিহারের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল খাতড়া আদালত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর খোঁজ চলছিল।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় তিনি তালড্যাংরা থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে জনগণের কমিটিতে যোগ দেওয়ার আগে গোপালবাবু সিপিএমের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ২০০৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। জনগণের কমিটি গঠনের পরে তিনি ওই সংগঠনে যোগ দেন। ২০০৯ সালে জুন মাসে সারেঙ্গা-লালগড় সীমানা এলাকায় কমিটির অবরোধ-আন্দোলনে প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে বহু বার। যৌথবাহিনীর ধড়পাকড় শুরু হওয়ার পরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র তিনি গা ঢাকা দেন। ওই বছর পুলিশ তাঁর ছেলে শিবু প্রতিহারকে মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার করেছিল। খাতড়া আদালতে লকআপের বাথরুমের ভিতরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। |