এলাকায় কাঁচা রাস্তার পরিবর্তে ইটের পাকা রাস্তার দাবি বহুদিনের। সেই দাবি মেনে ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে ওয়ার্ক অর্ডার হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইট ফেলার কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা টালবাহানায় সেই কাজ এখন। দক্ষিণ ২৪ পগনার ক্যানিং মহকুমার গোসাবার রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৬ নম্বর বুথের। এই এলাকায় দু’টি ইটের রাস্তার কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার কাজ শুরু না হওয়ায় অসম্তোষ দেখা দিয়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ গ্রামীণ রোজগার যোজনা (এসজিআরওয়াই)-র টাকায় গোসাবার রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘবাগান-মাঝেরপাড়া থেকে গোসাবা বাজার এবং উত্তরডাঙা-হালদারপাড়া থেকে গোসাবা বাজার পর্যন্ত দু’টি ইটের রাস্তার কাজ হওয়ার কথা ছিল। কাজের দায়িত্বও পেয়েছিল দু’টি ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ্বর গিরি, অসিত মণ্ডল, রবীন প্রধান, ভবানী দাসদের অভিযোগ, “রাস্তা হবে বলে সেই সময় ইটও পড়েছিল। কিন্তু রাস্তা না হয়ে সেই সমস্ত ইট কোথায় গেল জানি না। বর্ষার সময় আমাদের কাদা ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে হয়। পঞ্চায়েত থেকে সর্বত্র জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।” |
স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন মাইতির অভিযোগ, ‘‘রাস্তায় ইট ফেলা হলেও পরে একটি ঠিকাদার সংস্থার মালিক বলরাম পাত্র সেই ইট নিজের বাড়ির কাজে লাগান এবং বাকি ইট বিক্রি করে দেন। আর এক ঠিকাদার সংস্থার কর্তা প্রণবেশ মাইতির বাবা প্রভাত মাইতি ইটগুলি স্থানীয় একটি স্কুলের কাজে লাগান এবং বাকি ইট বিক্রি করে দেন।” যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি ওই দুই ঠিকাদার সংস্থার কর্তারা। বলরামবাবু জানান, “পরিকল্পনামাফিক ২ মিটার চওড়া রাস্তা করার কথা ছিল। আমি কাজের জন্য মাল সরবরাহের দায়িত্ব নিয়ে ইটও ফেলেছিলাম। কিন্তু গ্রামবাসীরা ২.৫ মিটার চওড়া রাস্তার দাবি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। আবার আয়লার পরে অধিকাংশ ইট গ্রামবাসীরা নদীর বাঁধ মেরামতির জন্য ব্যবহার করেছিলেন। ফলে রাস্তার কাজ আর শুরু করা যায়নি। আমি কিছু ইট নিয়েছিলাম ধার হিসাবে। রাস্তার কাজ শুরু হলে তা শোধ দিয়ে দেব।” অন্য ঠিকাদার সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভাতবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই সংস্থার মালিক আমি নই। এলাকায় আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কেউ কেউ এই অপবাদ দিচ্ছেন।” |