|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ ২ |
ধর্ষণ-পরবর্তী |
অনেক মেয়েই চুপ করে যান। কোথাও বাড়ির চাপ। কোথাও বা সামাজিক। অপরাধীর শাস্তি হয় না। অথচ
কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখলেই প্রতিবাদের রাস্তা সহজ হয়। আইনি সাহায্যও মেলে। চার দিন পর
নারী দিবস।
তার আগে মেয়েদের সেই হাতিয়ারগুলোর সন্ধান দিলেন স্বাতী ভট্টাচার্য |
পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণের কাণ্ডে এমন এক অবস্থা তৈরি হল ক’দিন, যে উদ্বেগ হচ্ছিল ওই কোঁকড়া-চুল তরুণীকে নিয়ে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে মেয়েটি, এ বার কি তার জীবনটাই অসহনীয় হয়ে উঠবে? দেখা গেল, ওই মেয়ে অসাধারণ সাহসী। লজ্জায় চুপ করে থাকা মানে আসলে ধর্ষণকারীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া, সেই বোধ তাঁর মধ্যে পুরোপুরি কাজ করেছে। বহু চাপের মুখেও তিনি মাথা উঁচু রেখেছেন, কারও ধমকে ঘাবড়ে গিয়ে পিছিয়ে আসেননি।
কিন্তু এই মেয়েও ভুল করেছেন অনেক, যার ফলে তাঁর অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে। কেবল এই মেয়েটিই নয়, যথেষ্ট শিক্ষিত, সমাজে এবং পেশায় সাবলীল মেয়েরাও আক্রান্ত হলে কী করা উচিত, কোথায় সাহায্য চাওয়া দরকার, কার সঙ্গে কথা বললে ভাল হয়, কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না। এমন সাংঘাতিক ঘটনা ঘটলে বিভ্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক, তবু সতর্ক হওয়া দরকার গোড়াতেই, যেন অসাবধানে, অজান্তে ভুল না হয়ে যায়। নইলে অনেক প্রমাণ লোপ পায়, পুলিশের কাছে বা আদালতে নিজের বক্তব্যের জোর কমে যায় অনেকটাই।
যে দেশে প্রতি ৩৪ মিনিটে একটি মেয়ের ধর্ষণ হয়, সেখানে একটি মেয়ে তার গোটা জীবনে কোনও না কোনও ভাবে আক্রান্ত হবে, কিংবা তার নিকট আত্মীয়-বন্ধু কোনও মেয়ে আক্রান্ত হলে তার পাশে দাঁড়াতে হবে, এটা ধরে নেওয়াই ভাল। সেই বিপদের মুহূর্তে অন্যের পাশে থাকতে, নিজের মাথা উঁচু রাখতে, যা যা জানা দরকার:
• ‘মেডিক্যাল টেস্ট পরে করলেও হবে’: পার্ক স্ট্রিট ঘটনায় মেডিক্যাল টেস্ট করানো হল অভিযোগের ছয় দিন পর। এটা ভুল। ঘটনার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। নিয়ম হল, মেয়েটি আগে থানায় গেলে সেখান থেকে কোনও পুলিশ তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে হাসপাতালে। অথবা মেয়েটি আগে হাসপাতালে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার খবর দেবে পুলিশকে, এবং মেয়েটির স্টেটমেন্ট নেবে। পুরুষ ডাক্তার পরীক্ষা করার সময়ে একজন মহিলা (নার্স কিংবা রোগীর বাড়ির লোক) সেখানে থাকা আবশ্যক।
• ‘আদালতের নির্দেশ চাই পরীক্ষা করাতে’: পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে পুলিশ ৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ পেলেও ১০ ফেব্রুয়ারি মেয়েটিকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তুলেছে, কোর্ট মেডিক্যাল টেস্টের অর্ডার দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। এ থেকে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে। ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি বা আদেশের কোনও প্রয়োজন নেই। যদি আদালতে আক্রান্তকে হাজির করার সময়ে তার পরীক্ষা না হয়ে থাকে, তা হলে আদালত এই নির্দেশ দিয়ে থাকে। কিন্তু আদালত নির্দেশ না দিলে পরীক্ষা হবে না, এমন কখনওই নয়। পুলিশের উচিত ছিল, ৮ কিংবা ৯ ফেব্রুয়ারি মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।
• ‘হাসপাতালে গেলে লোক জানাজানি হবে’: পুলিশ থানার মতোই, হাসপাতালও রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা করতে দায়বদ্ধ। দুঃখের বিষয়, অনেক চিকিৎসক ধর্ষণের পরীক্ষা এড়াতে নানা অজুহাত দেন। সেগুলো জেনে রাখুন। |
|
‘আগে এফ আই আর করে আসুন’ এটা বলার অধিকার হাসপাতালের নেই। আক্রান্ত মেয়েটি হাসপাতালে আগে এলে পুলিশে খবর দেওয়ার দায়িত্ব হাসপাতালের।
‘হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নেই, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নেই’ তার কোনও প্রয়োজনও নেই। যে কোনও এম বি বি এস ডাক্তার ধর্ষণ হয়েছে কি না, তার পরীক্ষা করতে পারেন।
‘হাসপাতালের পরিকাঠামো নেই’ একটি টেবিল আর একটু তুলো ছাড়া কোনও পরিকাঠামোর প্রয়োজন নেই। মেয়েটিকে ক্লিনিক্যালি দেখা, এবং তার দেহ থেকে কিছু সোয়াব (দেহরস) সংগ্রহ করা, বিশদ কেস হিস্ট্রি লেখা এবং ডাক্তারি পরীক্ষায় যা পাওয়া গিয়েছে তার রিপোর্ট লেখা, এই হল ডাক্তারের কাজ। হাসপাতাল খোলা থাকলে, এবং কর্তব্যরত ডাক্তার থাকলে, আক্রান্ত মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া বেআইনি। মনে রাখবেন, হাসপাতালে আক্রান্ত মেয়েটিকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট লিখলেই হবে না, তার চিকিৎসাও কিন্তু জরুরি। কেবল সাক্ষ্য সংগ্রহ করা নয়, রোগীর শারীরিক, মানসিক সমস্যা কী হচ্ছে তা চিহ্নিত করে, তার জন্য ওষুধ এবং পরামর্শ দেওয়া চিকিৎসকের কর্তব্য। এই দিকটি এ দেশের হাসপাতালে প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। আর একটি জরুরি কথা, মেডিক্যাল পরীক্ষার আগে মেয়েটির সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন।
‘মেডিক্যাল টেস্টে যদি ধর্ষণ প্রমাণ না হয়?’ এই ভেবে ঘাবড়াবেন না। ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এ বিষয়ে চরম প্রমাণ নয়। মেয়েটির নিজের বক্তব্য এবং সাক্ষীদের বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় আদালতে, সুপ্রিম কোর্ট অনেক মামলায় তার নজির রেখেছে।
• ‘আগে পরিষ্কার হই’: এই কাণ্ডের তরুণী বাড়ি ফিরে যেতে মা তাঁকে স্নান করিয়ে দিয়েছিলেন গরম জলে। যে কোনও কারণে শারীরিক, মানসিক ধকল গেলে স্নান করলে অনেকটাই শান্তি পাওয়া যায়, তাই এটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু ধর্ষণের ক্ষেত্রে এটা ঠিক নয়। মেডিক্যাল টেস্ট না-হওয়া পর্যন্ত স্নান করতে নিষেধ করেন ডাক্তাররা, কারণ তাতে বহু প্রয়োজনীয় প্রমাণ লোপ পেয়ে যায়। নিজেকে শান্ত করতে মাথায়, ঘাড়ে জলহাত বুলিয়ে নিন, কিন্তু সম্পূর্ণ স্নান করবেন না।
• ‘নোংরা কাপড় ধুয়ে ফেলি’: জামাকাপড় ধুয়ে ফেলাও ভুল হয়েছিল ওই তরুণীর। এতেও অনেক প্রমাণ লোপ পেয়ে যায়। জামায় মাটির বা ময়লার দাগ আছে কি না, তা কোথাও ছিঁড়েছে কি না, তাতে দেহরস, রক্ত বা অন্য কিছুর দাগ আছে কি না, তা সবই আইনের চোখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জামা-কাপড়, অন্তর্বাস, কোনও কিছুই কাচবেন না, ভাঁজ করে ঢুকিয়ে রাখুন প্লাস্টিকের প্যাকেটে। পুলিশকে দিন এবং খোঁজ রাখুন, তা ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে পাঠানো হল কি না।
• ‘পুলিশ পাত্তা দেবে না’: এখন তার সম্ভাবনা কম। গত পাঁচ-সাত বছরে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে, ধর্ষণের বা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এফ আই আর করতে পুলিশ আজ সাধারণত আপত্তি করে না। জেনারেল ডায়রি করবেন না, এফ আই আর করে তার নম্বর চেয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, ধর্ষণের অভিযোগ করতে চাইলে তা যেন ‘ধর্ষণ’ বলেই অভিযোগে উল্লিখিত হয়, ‘শ্লীলতাহানি’ বলে নয়।
‘সব বলার দরকার নেই’: অনেক মেয়ে নির্যাতনের মাত্রা লঘু করে দেখাতে চায়, সামাজিক মর্যাদা রক্ষার জন্য। ‘রেপ করার চেষ্টা করেছিল,’ বলেন তাঁরা। এটা কিন্তু মামলাকে দুর্বল করে। ঘটনার সময়, ঠিক কোথায় ঘটেছে, কী কী ঘটেছে, যেখানে যেখানে আঘাত-চোট লেগেছে, যে সব ধরনের নির্যাতন করেছে, সব কথাই নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট বলতে হবে। অভিযুক্তের নাম জানা থাকলে অবশ্যই লিখুন, নইলে দিতে হবে তার বিবরণ, যতটা সম্ভব। লজ্জা, ভয় ঝেড়ে ফেলে নির্ভেজাল সত্যি কথা লিখুন।
• ‘বাইরে মিটমাট করে নেওয়াই ভাল’: এই পরামর্শ পুলিশ, পাড়াপড়শি কখনও কখনও দিয়ে থাকে। নানা যুক্তি দেওয়া হয়, যেমন ‘রোজ কোর্টে যেতে হবে, কোনও দিন প্রমাণ হবে না, জানাজানি হয়ে যাবে, মেয়ের বিয়ে হবে না, বরং ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নিন।’ মনে রাখবেন, কোর্টে রোজ যেতে হয় না, সবার সামনে বিচার হয় না, আক্রান্ত মেয়েটি যদি কাউকে সঙ্গে চায় তবে সে-ই থাকে বিচার কক্ষে, নইলে দু-পক্ষের উকিল এবং বিচারক কেবল থাকেন। বিচার হয় বন্ধ ঘরে (‘ইন ক্যামেরা’)। বিপক্ষের উকিল যাতে অশালীন, অস্বস্তিকর প্রশ্ন করতে না পারেন, সেই উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলায় (২০০৪) রায় দিয়েছিল, বিপক্ষের উকিলকে তার প্রশ্নগুলি লিখে দিতে হবে বিচারকের কাছে। বিচারক (প্রয়োজনে ভাষা পরিশীলিত করে) প্রশ্নগুলি করবেন আক্রান্তকে। যে কোনও আক্রান্ত মেয়ে এই সুবিধে দাবি করতে পারেন।
যৌন নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়া সহজ, এমন নয়। কিন্তু বিচার চাইলে খোলা আদালতে রোজ অপমানিত হতে হবে, তা-ও নয়।
• ‘যা লেখার পুলিশই লিখুক’: না, অভিযোগ আপনার নিজে লেখাই ভাল। সব চেয়ে ভাল হয়, যদি থানায় যাওয়ার আগে পুরো ঘটনাটা নিজে লিখে নিয়ে যাওয়া যায়, কিংবা বিশ্বাসযোগ্য কাউকে দিয়ে লিখিয়ে তারপর পড়ে তা শুনে নেওয়া যায়। যদি থানায় গিয়ে পুলিশকে বিবরণ দিতেই হয়, তা হলে পুলিশ অফিসার আপনার বিবরণ লেখার পর পুরোটা পড়ে কিংবা শুনে নেওয়া খুব দরকার। কিছু বাদ গেল কি না, কিংবা তথ্যে বিকৃতি হল কি না, দেখে নিন।
• ‘কেস করার অনেক খরচ’: এই ভেবে অনেক গরিব পরিবার কোর্ট-কাছারি করতে ভয় পায়। ধর্ষণ কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ, উকিল নিয়োগ করে সরকার। থানা-আদালতে আক্রান্তদের কোনও খরচ নেই।
• ‘মেয়েটারও দোষ আছে’: অভিযুক্ত অনেক সময়েই দাবি করে, মেয়েটির সম্মতি ছিল। মেয়ের বয়স ১৬-র নীচে হলে তার সম্মতির প্রশ্নই ওঠে না। বালিকার সঙ্গে যে কোনও যৌন সংসর্গই ‘ধর্ষণ’। ভুল বুঝিয়ে, ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে (যেমন বিয়ের প্রতিশ্রুতি) সম্মতি আদায়ও ধর্ষণ। প্রাপ্তবয়স্ক হলেও, অভিযোগ জানাতে মেয়েটির কথাই শেষ কথা। সম্মতি ছিল কি না, সে বিষয়ে তার বক্তব্যই গণ্য করবে পুলিশ।
• ‘চেপে যাই, ভুলে যাব’: ভোলা কিন্তু যায় না। যৌন নির্যাতনে মানসিক আঘাত হবেই, সেই ‘ট্রমা’ ওই দুর্ঘটনাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে দেবে না। আমার উপর যে অন্যায় করেছে, সে যেন চূড়ান্ত শাস্তি পায় -- এই ইচ্ছে হবেই। ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রক্রিয়া সেই ইচ্ছেটাকে একটা বাস্তব রূপ দেওয়ার কাজ শুরু করে। অভিযোগ করার ঝুঁকি তো আছেই -- সমাজ নানা প্রশ্ন করবে,অভিযুক্ত ভয় দেখাবে, ন্যায় বিচার পাওয়াও অনিশ্চিত। কিন্তু কিছু না-করার ঝুঁকিও রয়েছে। মনে জমে-থাকা ক্ষোভ, হতাশা, নিজের প্রতি ঘৃণা থেকে উদ্বেগ ও অবসাদ, অন্যের উপর আস্থা হারানোর ফলে সম্পর্ক গড়ে তোলায় সমস্যা, স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে না-পারা, স্ট্রেস থেকে তৈরি নানা শারীরিক-মানসিক অসুখ, এ সবই হতে পারে। তাই ‘চেপে গেলে বেঁচে গেলাম’, এমন ভাবলে নিজের প্রতি, বা নিজের আক্রান্ত পরিজনের প্রতি অবিচার করা হতে পারে।
একটি মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হলে বিভ্রান্ত হবেই, ভেঙে পড়বেই। তার চিন্তা করার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তখন থাকবে না। তার চারপাশের মানুষদের তাই সব রকম ভাবে তাকে সাহায্য করতে হবে। সে কী ভুল করেছিল, কেন করেছিল, কতটা তার দোষ আর কতটা অভিযুক্তের, সে সব প্রশ্ন তোলার সময় সেটা নয়। এটা বুঝতে হবে পরিবারকে। আক্রান্ত মেয়েটিকে আবার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাই হবে সর্বপ্রথম কাজ। আর সেই কাজের মধ্যেই পড়ে পুলিশ, হাসপাতাল, আদালতের কাছে সুবিচারের দাবি। সেখানে যেন না মেয়েটি আবার আহত, অপমানিত হয়, যেমন হয়েছেন পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের তরুণী, তা নিশ্চিত করা সমাজের কাজ। |
যাঁরা তথ্য দিয়েছেন: আইনজীবী অমলেশকান্তি ঘোষাল,
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সত্যজিৎ আশ,
সমাজকর্মী বৈতালী গঙ্গোপাধ্যায়।
|
ফোন করুন |
• লালবাজারে মেয়েদের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র: ২২১৪ ৫০৪৯/১৪২৯ (বৃহত্তর কলকাতার জন্য)
• ভবানী ভবনে মেয়েদের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র: ২৪৫০ ৬১১৪ (গোটা রাজ্যের জন্য)
• ২৪ ঘন্টা মেয়েদের ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন: ১০৯২৫ (বৃহত্তর কলকাতার জন্য)
• স্বয়ম (১০টা - ৬টা) ৯৮৩০২ ০৪৩২২, ২৪৮৬ ৩৩৬৭/৩৩৬৮
• জবালা (১০টা - ৬টা) ২৪৬০ ২২২৯ |
|
|
|
|
|
|