শনিবারের নিবন্ধ ১
রং বরসে ২০১২
কটা সময় ছিল যখন পাড়ায় এক জন লোকই মদ্যপান করতেন। সবাই সেটা জানত। বাজারের, প্লাস্টিকের বালতি-ব্যাগের ফুটোফাটার মধ্য দিয়ে শাকসবজির নীচে চাপা দেওয়া, খবরের কাগজে মোড়া বোতলটা পড়শিরা ঠিক চিনে নিত। এমন কী তার নাম হত বোতল। বাড়িটা বোতলের বাড়ি।
আর এখন পাড়ায় পাড়ায় ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে পুরনো শিশি বোতলের যা বিক্রি বেড়েছে! মদে ম্যারিনেট করা এই সমাজের স্বাদ যে রোজ বদলাচ্ছে। মন বদলাচ্ছে। তা আর প্রমাণের দরকার নেই। এখন আর দোলে বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে নেশা করে বাড়ি না ফেরা, বা লবঙ্গ, পুদিন-হরা চিবিয়ে নির্বিকার মুখ করে ফেরার আড়াল নেই।
আড়ালটা স্বচ্ছ এখন। নেহাত একটা সাজেস্টিভ আড়ালের মসলিনি ঢং। সব দেখা যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে, অথচ ‘ভিকি জানেই না যে ও মার্জারিন খাচ্ছে!’ এই মডার্ন ইচ্ছে-উদাস ভিকি তো দোলও খেলে।
গলাটা ভারী না হলেও অমিতাভ-অমিতাভ করে দুপুর দেড়টা নাগাদ সবার সঙ্গে গেয়ে উঠবে ‘রং বরসে...ভিগে চুনরিওয়ালা.... রং বরসে।’ ভিকি জানে মাখন খাচ্ছে অন্য এক জন, তবু সে মার্জারিনকেই মাখনের সম্মান দিয়ে ‘হ্যাপি ফ্যামিলি’র খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোনে কি থালি মে জো না পড়োসা
খায়ে গোরি কে ইয়ার বলম তরসে... রং বরসে!

গানটা যে সময়ের তখন জিন্দেগিকা সিলসিলা কুছ অলগ থা। আজ যদি ধরি, ওই গানটা রিমেকের বায়না উঠত! গণ্ডিটা ছোট করে নিয়ে ভাবি, ধরুন খোদ টালিগঞ্জেই হচ্ছে। ‘রং বরসে’ রিমেক। দোলের জাতীয় সংগীত। হামেশাই হিন্দি গান ঢুকছে বাংলা ছবিতে। বাংলা ছবির দর্শকও শুধু বাঙালিরা নয়। প্রযোজকরা তো নয়ই। কাজেই সম্মতির উত্তেজনাটা প্রযোজকদের তরফে তুমুল থাকবে। শিওর হিট। কিন্তু কে করবেন? পরিচালক?
কল্পনাই যখন করব তখন ঋতুদাকে (ঋতুপর্ণ ঘোষ) নিয়েই ভাবা যাক। অতি কষ্টে রাজি করানো হলেও একটা শর্ত চাপাল ঋতুদা -- গানটা মৈথিলীতে নতুন করে নিজে লিখবে। অনায়াস কলমে রাধাকৃষ্ণের দোলের খুনসুটি, খুটিনাটির মধ্যে দিয়ে পুরাণের এক সুসজ্জিত প্রাসাদের সেটে (এ সি) বসন্তের বাতাসে পর্দা-চিখের ফাঁক দিয়ে বউ বিদ্যা বালন প্রথম দেখল নীচে ঠাকুরদালান (দাঁ বাড়ি/ নন এ সি) জুড়ে দোল খেলা হচ্ছে!
স্বামী প্রসেনজিতের মুখে প্রথম আবিরটা মাখাল রাইমা, জেট এয়ার ওয়েজের পাইলট যিশুর স্ত্রী। গানটা বিদ্যার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে লেখা হয়ে গেছে, বারবার মুখগুলোতে ফিরে ফিরে আসছে— ‘রং বরসে’। কণ্ঠ শুভা মুদগল। এবার বিদ্যাকে নীচে যেতেই হবে। একটা বড় শ্বাস নিল.... তার পর ফ্রেম আউট।
আঙ্গন ভাসি গেলা হরষে....
সখি আওয়ে গেহে.... রং বরসে...
পরমব্রতকে কাছে ডাকলেন স্বস্তিকা, শ্রাবন্তী। বোঝার আগেই গালে রং
রাজ চক্রবর্তী একটা ব্যাপারে পরিষ্কার। যেটা ক্লাসিক সেটাকে বেশি না ঘাঁটাই ভাল। তবে এক ছবিতে দেব, জিৎ, কোয়েল আর শ্রাবন্তীকে পাওয়া কম কথা নয়। হোর্ডিংটা কল্পনা করেই রাজ ‘হ্যাঁ’ বলে দিল। তবে রাজেরও একটা বড় শর্ত থাকল। ওই সেকেলে লনে বসে আবির আর পিচকারিতে পরকীয়া দেখালে আজ লোকে দেখবে কেন? লোকেশন অন্য রকম, বিরাট একটা কিছু হতে হবে। রাজ জানে মূল গানটার থেকে তার ভার্সানটার শট টেকিং অনেকগুণ বেটার হবে, তবে মিউজিক ডিরেক্টরকে স্পষ্ট বলে দিতে হবে, গানের বিটটা কড়া ডোজের দিতে। সাব উফার, টুইটার স্পিকারগুলো যেন খুলে হাতে চলে আসে। হিট নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু লোকেশন?
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘রং বরসে’ নিয়ে বিরাট উত্তেজনা...এত রঙের মনতাজ! এত পোশাক...আর তার পাশাপাশি মদ্যপান বা ভাং চর্চার সঙ্গে অফুরান স্টার্টারস! নানা রকম কাবাব, পোস্ত দিয়ে তোপসে ফ্রাই, ফিশ-মুনিয়া ইত্যাদি। বাজেট কমাতে ছোলা-বাদাম হলে টনি খেলবে না। কাস্টিং আবার অনুরণনের মতোই, রি-ভিজিটেড। ঋতু-রাইমার বয়সের তফাতটাও আলাদা একটা মাত্রা দেবে ছবিতে পরের দিকে। রাইমা রেখা। ঋতু জয়া।
আলো করার পর রঞ্জন পালিত তাঁর সহকারীকে বলবেন, ‘যাও, টনি রান্নার ওখানে আছে, বলো আমি রেডি।’
সৃজিত চুপচাপ মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বলল। ‘রং বরসে’ ওর খুবই প্রিয়। অন্যান্য দোলে যাঁরা সৃজিতকে গম্ভীর দেখেছেন, তাঁদের জানিয়ে রাখিভিতরে ভিতরে ‘রং বরসে’ তেড়ে বাজে, অথচ ও বুঝতে দেয় না। সৃজিত গানটা অন্য চোখে দেখবে জানা কথা। শহরের বহু-আলোচিত ব্যাচেলর চিত্র পরিচালক। বিয়ের আগে পরকীয়াটা ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ ক’জন পায়! কোয়েল বেশ রেখার মতোই শার্প। জয়াকে খুঁজে পেতে ঘাম ছুটে গেল, শেষকালে পদ্মপ্রিয়াকেই ফোন! ‘অপরাজিতা তুমি’ প্লাস বেঙ্গালুরুর স্মৃতি। অমিতাভটা একজনই ক্যারি করতে পারে, বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ)। সৃজিত-প্রসেনজিৎ জুটি পুজোতে দুর্গা-অসুরের জুটির থেকে হিট, অন্তত শেষ দু’বছর!
প্রযোজক সৃজিতকে আলাদা ডেকে বললেন, ‘আচ্ছা, প্লেন ক্র্যাশ গ্রাফিক্স করলেও অনেক খরচ! ওভারডোজ অব ভাং বা বিষাক্ত আবির খেয়ে কি মরতে পারে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত?’ যদিও এই মুহূর্তে মৃত্যুর পদ্ধতি নিয়ে সৃজিত পিএইচডি করে বসে, তবু তক্ষুনি সায় না দিয়ে কপালের চুলটা খামচে আকাশে তাকিয়ে বলল,‘দেখছি।’
শুধু নায়ক-নায়িকাই দোলে রোম্যান্স করবে? রাজ কপূর-নার্গিসের ক্ল্যাসিক ভঙ্গিমায় শ্রাবন্তী-স্বস্তিকা
আমার কাছেও প্রস্তাবটা এসেছিল। গানটা বারবার শুনেওছি আমি। মোদ্দা কথা যেটা বুঝলাম, আমার সাজানো বাগানের ফল হনুমান এসে খেয়ে চলে যায়, আর আমি বাউলের মতো গান করে করে পাক খাই, ভাং খাই, দাঁত বার করে হাসি আর এমন ভাব করিআমি কিচ্ছু বুঝিনি, বুঝি না, বুঝবও না। নেপোয় মারে দইতো মারুক! যার স্ট্যামিনা আছে মারুক। সেটা তো নেপোর ক্রেডিট। আর আমার বউ যদি আমার চেয়ে চুপকে চুপকে নেপোকে দুটো বেশি ভোট দেয়, আমি কী করব! আমি গাইব, নাচব
লৌঙ্গা ইলাইচিকা বিড়া লাগায়া
চাবে গোরি কা ইয়ার, বলম তরসে
’।
কাস্টিং প্রবলেমটা ছিল না আমার। একটা শর্ত দিয়েছিলাম। সেটা শুনেই প্রযোজক আর পরদিন থেকে ফোন করেনি। আমি শুধু বলেছিলাম ত্রিভুজ-চতুর্ভুজ এখন আর কোনও ম্যাজিক নেই। একটা এক্সট্রা খোঁচা না মারলে দর্শক নেবে না। বলেছিলাম জয়ার একটা সন্তান থাক। ছোট্ট একটা ছেলে। দোলের ওই দিন প্রথম ওরা জানতে পারবে বাচ্চাটা কালার ব্লাইন্ড! কোনও রং-ই সে বুঝছে না! আস্তে আস্তে বাচ্চাটার মতো জয়ার জীবনও ক্রমশ রেখার চাপে বিবর্ণ হয়ে যাবে। আমার গায়ে কাঁটা দিল ভাবনাটায়। প্রযোজকের গায়ে কাঁটা দিল ফ্লপের ভয়ে। পালাল।
সত্যিই আর দাম আছে ‘ভিগে চুনরওয়ালি’র? কোনও দম বা দাম আছে পরকীয়ার বা গোপন প্রেমের? যে-পাখিকে ছেড়ে দিলে আর ফিরে আসে না, সে-পাখি তো আমার কোনও দিনই ছিল না! তবে আর তার জন্য কেঁদে, ভেবে মরি কেন?
‘সিলসিলা’র সময় তখন মোবাইলও ছিল না। বিপজ্জনক ছিল ল্যান্ডলাইনে ফোন করা...কে না কে ধরলে কেলো হয়ে যাবে! একটাই পথ খোলা, সেটা সবচেয়ে বিপদেরদেখা করা! সবার নজর এড়িয়ে একটা বোকা কারণকে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে, একবার দেখা করা!
এখন একটা ইমেল বা এসএমএস! কত চিহ্ন, কত ইশারা, কত ভঙ্গি পাঠানো যায়। বউ বাথরুমেস্কাইপে চুমুও খাওয়া যায়দেখা যায় যা ইচ্ছে তাই। শার্লক হোমসও পেশা বদলাত, যদি পরকীয়া ধরতে হত।
দুই সুন্দরী, অনেকটা রং... একটু দুষ্টুমি। শ্রাবন্তী-স্বস্তিকা
এখন পরকীয়ার কথা স্বামী বা স্ত্রী জানতে পারে, যখন বিপ্লবীর মতো নিজে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়! সৎ ভাবে জানিয়ে দেওয়ার মধ্যে একটু কান্না আছে, কিন্তু অনেকটা গর্বও আছে‘ও ভীষণ অনেস্ট!’
এই অনেস্টির পোকাটা আমাদের সবার মগজে বংশ বৃদ্ধি করছে। যত করছে, ততই মডার্ন হচ্ছি আমরা। এখন আর চোখের ইশারা, বুঝে নেওয়া, চোখ নামানো, একটু নেকুপুশুমুনু ভাব করা...এ সবে কিচ্ছু হয় না!
এখন দোলে চাপা প্রেমের গল্প থাকলে বিন্দাস থাকে। সবাই সব জানে, মেনে নেয়। গান গায়, মদ খায়। ফুর্তি করে, সংসার টিকে যায়। তখন ‘রং বরসে’ একটা মানসিক ‘অরজি’ ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। গোপন প্রশ্রয়ের সুরেলা রঙিন প্রিন্টআউট!
বেলা চামেলিকা সেজ বিছায়া
শোয়ে গোরিকা ইয়ার, বলম তরসে
’।
একটা ফিসফাস শুনলাম, প্রযোজক সাহস করে অঞ্জন দত্তের কাছেও নাকি গেছিলেন। বেনিয়াপুকুরের পুরোনো বাড়িটার পিছনের ঘরে বসে কথা বলছিলেন! তবে কেউ ঢোকেনি ঘরে, তাই ঠিক কী কী কথা হয়েছিল বলা যাচ্ছে না।
তবে প্রযোজক মিটিং শেষ করে যাওয়ার পর কোনও এক শুভানুধ্যায়ী পরিবেশককে ফোনে যখন বলছিলেন, কয়েকটা কথা কানে এল‘বলছেন মিউজিক্যাল হবে?পুরো আউটডোর৬টা গানবেবে করবে ক্যামেরা দোলে দার্জিলিং!’
‘দোলে দার্জিলিং’টা শিওর ছবির নাম। পরে গোপন সূত্রে শুনেছিলাম, প্রোডিউসার দোলের ছবির নায়ক হিসেবে একজনকে নিতে জোর করেছিলেন, তাই অঞ্জনদা রাজি হননি। ‘দোল’ আছে বলেই ‘আবির’কে নিতে হবে! স্টুপিড! অঞ্জনদার ছবির এক্সক্লুসিভ ব্যোমকেশ! তাই এটাও হল না। একটা অদৃশ্য বেড়াল যেন ক্রমাগত এই কল্প-প্রযোজনার পথ কাটতেই থাকল!
‘রং বরসে’তে ঠিক যা হয় আর কী! কথা নয়, রসায়নটাই আসল। পরমব্রত-স্বস্তিকা
কারণ হয়তো একটাই। যে পেলবতা নিয়ে মানুষের ভালবাসার ত্রিভুজ-চতুর্ভুজ তৈরি হত, সেই ড্রইং খাতাটার আর একটাও পাতা খালি নেই। এখন মলাটে আঁকিবুকি তাই আর কেউ গ্রাহ্য করছে না। মনে বিঁধছে না!
তা হলে কি কোথাও একটু ভয়, পরাধীনতা, আড়ষ্টতা, আঁচলের মতো প্রেমকে একটু আড়াল করে অনেকটুকু আগ্রহ বাড়িয়ে দিত! তা হলে কি আমরা আগাগোড়া আ-ঢাকা প্রেমের রোমাঞ্চটাই হারিয়ে ফেলছি! ‘পরকীয়া’ শব্দটাও কি তাই আজ ন্যাকা ন্যাকা শোনায়?
তবু ভিকিরা দোলের আবির কেনার সময় মনে মনে গুনগুন করবেন ‘রং বরসে’ আর গোপন জল্পনাটা চালিয়ে যাবেন কী ভাবে দুপুরের মধ্যে অন্তত একবার দেখা করে আসবেন ওর সঙ্গে। ন্যাড়া ছাদেও তো একটা ভয়ের পাঁচিল থাকে। তাই এখনও দোল দোলই। তাই আজও ওই পুরনো গানটাই চলছে, রিমেক লাগেনি।
‘রং বরসে’র রিমেক আসলে প্রতি বছর হচ্ছে আমার-আপনার দোলে। এত সহজ সেই সম্পর্কের জট যে খোলারও তাগিদ নেই। যে রকম ইচ্ছে রং মাখুন, রং মাখান... সব দু’একদিনে সাবানে সাবানে ধুয়ে যাবে। উঠে যাবে। শুধু মনে রাখবেন, কিছু দাগ ছাদে, সিঁড়ির রেলিং আর পাপোশে সারা বছর থেকে যায়। নতুন রং না হওয়া পর্যন্ত। মনে রাখবেন প্লিজ একটা কথা গানটায় বারবার ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে— ‘বলম তরসে’।
সাবধান!

দোল বদল
আগে এখন
• দোলের হইচই? ওই পাড়ার মধ্যে। সকালটা। খুব বেশি হলে, কোনও এক বন্ধুর বাড়িতে সবাই মিলে জড়ো হয়ে রং খেলা, তারপর লাঞ্চ। নেশা বলতে ভাঙের শরবত।
• দোলের আবার ফ্যাশন কী? সব চেয়ে পুরনো, ছেঁড়া জামাটাই পরা উচিত। রং লেগে নষ্ট হয়ে যাবে না!
• দোলের বিউটি ট্রিটমেন্ট! বাঁদুরে রং ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাকে তেল দিয়ে ঘষে, ঘষে তোলা। দরকার পড়লে নারকেল তেলও মাখতে হবে। তারপর সাবান দিয়ে ভাল করে স্নান। ব্যাস!
• সিনেমায় ঠিক আছে, কিন্তু সবার সামনে পরস্ত্রী বা অন্যের বরের সঙ্গে দোল খেলা? কখনও নয়। ওটা রাধা-কৃষ্ণই একমাত্র পারতেন।
• পার্টি না হলে কীসের দোল? নিজের বা ভাড়া গাড়ি নিয়ে কাছের বাগানবাড়ি বা কোনও বন্ধুর লনে পৌঁছে যাওয়া। নয়তো শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব। সেটাই স্টেটাস সিম্বল। নেশা মানে ভাঙ এবং...
• বিশেষ পোশাক মাস্ট। স্টাইলিশ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। তাতে সাদা বা উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়াও দরকারি।
• পরের দিন অফিস বা অন্য কাজ আছে। একদিনের উল্লাসে ত্বক নষ্ট হয়ে গেলে হবে না। সুতরাং এমন মেক-আপ দরকার, যাতে রং সহজে উঠে যায়। টিপসের জন্য কাগজ বা টিভির বিউটিশিয়ানরা তো আছেনই।
• একটু-আধটু খুনসুটি, হাল্কা শরীরী ছোঁয়া নিয়ে আজকাল নাকি কেউ আর তেমন মাথা ঘামান না। বরঞ্চ ওই মুহূর্তগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকে। হবে হয় তো...

মডেল: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়-বিশ্বাস, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
ছবি: দেবাশিস মিত্র
পোশাক: সায়ন্তন সরকার
স্টাইলিং ও ভাবনা: অজপা মুখোপাধ্যায় রায়
মেক আপ: নবীন দাস
কেশসজ্জা: দীপা মল্লিক
গয়না: অঞ্জলি জুয়েলার্স
আউটডোর লোকেশন: দক্ষিণ কলিকাতা সংসদ


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.