|
|
|
|
অনিয়ম, দেড়শো ডিলারকে শোকজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সরকারি ভাবে বরাদ্দ করা খাদ্য ও কেরোসিন বণ্টনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ৯ মাসে অন্তত দেড়শো রেশন ও কেরোসিন ডিলারকে শো-কজ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খাদ্য দফতর। এদের মধ্যে ১০ জন রেশন ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল এবং ১০ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলার ৩৩ জন রেশন ডিলার এবং ৩২ জন কেরোসিন ডিলারের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ আদায় করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ২০০ টাকা এবং সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৭৫০ টাকা।
নতুন সরকারের আমলে জেলা প্রশাসন-সহ খাদ্য, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি জেলায় আসে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি। জেলা প্রশাসনিক ভবনের সভাঘরে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান অশোক দেবের নেতৃত্বে ৬ জন বিধায়ক জেলার প্রশাসনিক ও সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে জেলা খাদ্য দফতর ২০১১-এর ১ মে থেকে চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ মাসের কাজের রিপোর্ট পেশ করে। সরকারি ভাবে বরাদ্দ করা খাদ্য ও কেরোসিন বণ্টনে বিভিন্ন অনিয়মের যে অভিযোগ ওঠে তা অনেকাংশেই যে সত্যি, জেলা খাদ্য দফতরের রিপোর্টেই তা পরিষ্কার।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৯ মাসে জেলার ৯৩ রেশন ডিলার ও ৬৩ জন কেরোসিন ডিলারকে বিভিন্ন অভিযোগে শো-কজ করেছে খাদ্য দফতর। এর মধ্যে কাঁথি মহকুমার ৪০ জন রেশন, ৩৭ জনকে কেরোসিন ডিলার, হলদিয়া মহকুমার ৩৩ জন রেশন ও ১১ জন কেরোসিন ডিলার রয়েছেন। তমলুক মহকুমার ১২ জন রেশন, ৭ জন কেরোসিন এবং এগরা মহকুমার ৮ জন রেশন ও ৪ জন কেরোসিন ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। বিধানসভার খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান অশোক দেব স্পষ্ট বলেন, “সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত সামগ্রী বণ্টনে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে অভিযোগ এলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খাদ্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জেলা খাদ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত ৯ মাসে জেলায় ৪ জন রেশন ও ৬ জন কেরোসিন ডিলারকে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৮ জন রেশন ও ২ জন কেরোসিন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের মতে, বিভিন্ন এলাকায় সরকার অনুমোদিত রেশন ও কেরোসিন দোকানে হানা দিয়ে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণের ভিত্তিতে এই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মিঠু অধিকারী বলেন, “সরকারি বরাদ্দকৃত খাদ্যদ্রব্য ও কেরোসিন বণ্টনে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। জেলা খাদ্য দফতর ইতিমধ্যে জেলার বেশ কিছু দোকানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।” |
|
|
|
|
|