শিল্ড জয়ের শতবর্ষেই আই এফ এ শিল্ড খেলছে না মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন জার্সি না থাকলে কী হবে, এ বারের শিল্ডের প্রতি ম্যাচেই মাঠে ঘোরাফেরা করবে মোহনবাগানের কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার নাম। এ বারের টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারকে দেওয়া হবে সদ্য প্রয়াত শৈলেন মান্নার নামাঙ্কিত ট্রফি। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “প্রতি ম্যাচেই এক জন করে নির্বাচক রাখা হবে। তাঁরাই ঠিক করবেন সেরা ফুটবলার। ট্রফি ছাড়াও সেরাকে দেওয়া হবে পঁচিশ হাজার টাকা।” সেরা কোচকে রহিম সাহেবের নামাঙ্কিত ট্রফি দেওয়া চালু হয়েছিল আগেই। ট্রফির সঙ্গে দেওয়া হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি ম্যাচের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার তো আছেই। শিল্ড জিতলে ক্লাবগুলি যা পুরস্কার অর্থ পাবে তা ফেড কাপের সমান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এক হোটেলে শিল্ডের সূচি প্রকাশ হল সরকারিভাবে। তাতে চারদিন দু’টি করে ম্যাচ দেওয়া হচ্ছে। সেমিফাইনাল ১২ এবং ১৩ মার্চ। ফাইনাল দু’দিন পর ১৬ তারিখ। চারটে গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ১২ দলকে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা যাবে শেষ চারে। ইস্টবেঙ্গল আজ শনিবার উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভবানীপুরের। টোলগেদের গ্রুপের পরের ম্যাচ ৯ মার্চ। প্রতিপক্ষ লাজং এফ সি। রবিবার পুণে এফ সি প্রথম ম্যাচ খেলবে পৈলান অ্যারোজের সঙ্গে। টুর্নামেন্টের একমাত্র বিদেশি ক্লাব বোতাফোগোর যুব দল শহরে এসে পৌঁছবে ৬ মার্চ। তাদের প্রথম ম্যাচ ৯ তারিখ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল চিরাগ কেরলের সঙ্গে। ব্রাজিলের দলটি গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ১১ মার্চ সাদার্ন সমিতির সঙ্গে। প্রয়াগ ইউনাইটেডের প্রথম ম্যাচ ৭ মার্চ, মুম্বই এফ সি-র সঙ্গে। ইয়াকুবুরা গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবেন ১০ মার্চ। প্রতিপক্ষ টেকনো এরিয়ান। আই এফ এ সচিব জানান, তাঁরা মরসুম শুরুর উদ্বোধনী টুর্নামেন্ট হিসাবে শিল্ড সংগঠন করতে চান। কিন্তু ফেডারেশন সময় না দেওয়ায় তা করতে পারছেন না।
আজ ইস্টবেঙ্গল যখন যুবভারতীতে শিল্ডের ম্যাচ খেলবে, তখন মোহনবাগানে চলবে শৈলেন মান্নার স্মরণ। রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাঝে মাঝে বক্তব্য রেখে অজাতশত্রু ফুটবলারকে স্মরণ করবেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। স্মরণসভায় আসার জন্য তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকে শুক্রবার আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন মোহনবাগান ফুটবল সচিব উত্তম সাহা। স্ত্রী দীর্ঘদিন মাঠে যান না। কন্যা যাবেন কি না স্পষ্ট নয়।
|
গোয়ায় মেয়েদের জাতীয় ফুটবলে বাংলার কোচ হলেন রঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। ম্যানেজার সুদেষ্ণা মুখার্জি নাগ। শুক্রবার সুভাষ সরোবরে শুরু হয়েছে বাংলার অনুশীলন। |