ডগলাস দ্য সিলভা বনাম ইস্টবেঙ্গল! উনিশশো চুয়ান্নর পর ভবানীপুর ক্লাব আবার লাল-হলুদ জার্সির সামনে! আইএফএ শিল্ডের প্রথম ম্যাচে আজ, শনিবার এই দু’টিই ক্যাচ লাইন। সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ সংযোজন, মাস দু’য়েক আগে আই লিগের সেই বড় ম্যাচের ব্যর্থতার নির্বাসন থেকে ফের মাঠে ফিরছেন সন্দীপ নন্দী।
ধারেভারে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের টিমের সঙ্গে দেবজিৎ ঘোষের দলের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। টোলগে-পেনরা রয়েছেন আই লিগ ও কলকাতা লিগের চ্যাম্পিয়নের দৌড়ে। উল্টোদিকে ডগলাস-হেনরি-সাগ্রাম মাণ্ডিরা পেরোতে পারেননি আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের প্রাথমিক পর্বের গণ্ডিই। তবুও যুবভারতীতে ম্যাচ খেলতে নামার আগে যথেষ্ট চিন্তায় লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ। কেন? শুক্রবার অনুশীলনের পর তিনি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, “তিন দলের গ্রুপ থেকে একটা দল শেষ চারে যাবে। এটাতেই বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে দু’টো ম্যাচই জিতলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তার উপর এ বার মোহনবাগান বা গোয়ার দল খেলছে না। খারাপ কিছু হলেই সবাই বলবে, এত সহজ সুযোগ পেয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না।”
টোলগেদের কোচের যুক্তি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত সে জন্যই ঘরের মাঠে এএফসি কাপের আগে এই টুর্নামেন্ট খেলার ব্যাপারে সায় ছিল না মর্গ্যানের। তবে ক্লাবের সিদ্ধান্ত বিরক্ত হয়েও মেনে নিতে হয়েছে। সে জন্যই বললেন, “ভবানীপুরকে আগে দেখিনি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য প্রথমে গ্রুপ লিগের দু’টি ম্যাচ জেতা। তারপর চ্যাম্পিয়ন হওয়া।”
কিন্তু কাদের নিয়ে রক্ষণ সাজাবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ? তাঁর হাতে তো উগা ওপারা ছাড়া কোনও স্টপারই নেই। শেষ পর্যন্ত কয়েক বছর আগে কার্লোস-ফিলিপ ডি’রাইডার জমানায় দু’একবার স্টপারে খেলা সৌমিক দেকেই নামিয়ে দিচ্ছেন মর্গ্যান। ওপারার সঙ্গী হিসাবে। লেফট ব্যাকে রবীন্দর সিংহ এবং রাইটব্যাকে খাবরা। শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত করতে গ্রুপের দু’টো ম্যাচেই জিততে চাইছেন মর্গ্যান, সে জন্য ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই দল নামিয়ে দিচ্ছেন। মাঝমাঠে পেন-সুশান্ত-মেহতাব। সামনে টোলগে-রবিন-লেন। মর্গ্যান ঠিক করেছেন শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপাবেন। প্রসঙ্গত, এডমিলসনকে শিল্ডে খেলাতে পারবেন না মর্গ্যান। তিনি কলকাতা লিগে অন্য দলের হয়ে খেলেছেন বলে।
ইস্টবেঙ্গল এ দিন নিজেদের মাঠে অনুশীলন করলেও যুবভারতীতে সমস্যায় পড়তে হয় ভবানীপুরকে। বিকেলে দেবজিৎ দল নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, মাঠের গেট বন্ধ। শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়াম কর্মীদের ডেকে গেট খোলানো হয়। হেনরি, সাগ্রামরা মাঠের পাশেই পোশাক বদল করে নামেন। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভবানীপুর। রাতে আবার আরও ঝামেলা। পুলিশ থেকে ইফিয়ানি নামে এক বিদেশিকে লিয়েনে নিয়েছিল ভবানীপুর। শিল্ডে তাঁকে খেলানো নিয়ে ম্যানেজার্স মিটিং-এ তীব্র আপত্তি জানায় ইস্টবেঙ্গল। তাদের বক্তব্য, একই মরসুমে একাধিক দলে খেলা ফুটবলারকে একটি রাজ্য সংস্থার টুর্নামেন্টে খেলানো যায় না। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ইফিয়ানিকে শিল্ডে খেলানো যাবে না।” এতে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ভবানীপুর। ইফিয়ানিকে বাদ দিয়েই তাই মাঠে নামছে তারা।
|
শনিবারে আইএফএ শিল্ড
ইস্টবেঙ্গল : ভবানীপুর (যুবভারতী ৩-০০) |