|
|
|
|
‘আড়ি পাতা’ নিয়ে বিতর্ক, তল্লাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরে এ বার এ কে অ্যান্টনি। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব যার কাঁধে, সেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অফিসে আড়ি পাতা হচ্ছিল কি না, তা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এর আগে নর্থ ব্লকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর টেবিলের তলায় চ্যুইংগাম মেলায় একই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। তখন গোয়েন্দাদের ডেকে নিয়ে এসে গোটা দফতর পরীক্ষা করানো হয়। আড়ি পাতার কোনও যন্ত্র না মিললেও, কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে এ নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয় সে সময়। মনমোহন সরকারের অন্য কোনও মন্ত্রীই প্রণববাবুর ঘরে আড়ি পাতার চেষ্টা করেছেন কি না, সে প্রশ্নও ওঠে। সেই আড়ি পাতা নিয়ে আতঙ্ক এ বার সাউথ ব্লকে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের টেলিফোনে কিছু ‘অস্বাভাবিক সঙ্কেত বা সিগন্যাল’ মিলছে বলে সন্দেহ তৈরি হয়। সেনাবাহিনীর দু’জন গোয়েন্দা অফিসার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর টেলিফোনের দায়িত্বে থাকেন। ওই ঘটনার পরই তাঁদের সরানো হল বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। সে সময় সেনাপ্রধান জেনারেল বিজয়কুমার সিংহের বয়স-বিতর্ক নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবাদ চলছিল। সেনা গোয়েন্দাদের তরফ থেকে খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর টেলিফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে কি না, এমন সন্দেহও দানা বাঁধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিদেশি সংস্থাকে বরাত দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। ‘অস্বাভাবিক সিগন্যাল’-এর সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ আছে কি না, ওঠে সেই প্রশ্নও। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অ্যান্টনি সনিয়ার অন্যতম ঘনিষ্ঠ। কাজেই অন্য কোনও স্বার্থে আড়ি পাতা হচ্ছে কি না, সেই সন্দেহও তৈরি হয়।
প্রতিরক্ষাসচিব শশীকান্ত শর্মা এর পর বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)-র কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আইবি-র বিশেষ দল এসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অ্যান্টনির ঘরে চিরুনি তল্লাশি চালায়। শশীকান্ত শর্মা অবশ্য আজ একে ‘রুটিন তল্লাশি’ বলেই দাবি করেছেন। সরকারি ভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ধরনের তল্লাশি নিয়মিত করা হয়। তল্লাশিতে অস্বাভাবিক কোনও ‘সিগন্যাল’, টেলিফোনে আড়ি পাতা বা মন্ত্রীর ঘরে কোনও যন্ত্র বসিয়ে কথা শোনার প্রমাণ মেলেনি। যে সেনা অফিসাররা অ্যান্টনির টেলিফোনের দায়িত্বে থাকেন, বিষয়টি তাঁদেরই প্রথম নজরে এসেছিল। কাজেই এর সঙ্গে সেনাবাহিনী ও মন্ত্রকের বিবাদেরও সম্পর্ক নেই বলেই সরকারি ভাবে দাবি করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|