আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করল সংসদের আর্থিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে, সঞ্চয়ের ভিত্তিতে আয়কর ছাড়ের সীমাও বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকায় নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী তারা।
বর্তমানে সাধারণ ভাবে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ১ লক্ষ ৯০ হাজার। আর প্রবীণ (৬০ থেকে ৮০ বছরের নীচে) এবং অতি প্রবীণ (৮০ বছর বা তার বেশি)-দের ক্ষেত্রে এই সীমা যথাক্রমে আড়াই এবং ৫ লক্ষ টাকা। প্রত্যক্ষ কর বিধি সংক্রান্ত বিল খতিয়ে দেখতে গিয়ে ওই করমুক্ত আয়ের সীমাকেই ১ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকায় নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। তবে, মহিলা, প্রবীণ বা অতি প্রবীণদের অতিরিক্ত সুবিধা থাকবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। প্রভিডেন্ট ফান্ড, জীবনবিমা-সহ কিছু নির্দিষ্ট প্রকল্পে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ের মাধ্যমে কর বাঁচানোর সুবিধা রয়েছে এখন। পরিকাঠামো বন্ডে লগ্নি করে আরও ২০ হাজার টাকা আয়কর ছাড় পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। কমিটির সুপারিশ, এই এক লক্ষ কুড়ি হাজারের পরিবর্তে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ে ছাড় পাওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি ৭-৮ শতাংশে নেমে এলেও, গত বছরের অধিকাংশ সময়ই সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশের আশেপাশে। এখনও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যথেষ্ট চড়া। তাই এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই কর ছাড়ের সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।
প্রসঙ্গত, আয়কর নীতিতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা আনতেই ১৯৬১ সালের আইন বদলে প্রত্যক্ষ কর বিধি চালু করতে চায় কেন্দ্র। সেই উদ্দেশ্যেই এই সংক্রান্ত বিল খতিয়ে দেখতে তা পাঠানো হয় বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির কাছে। তার পরই আয়কর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধির এই সুপারিশ করেছে কমিটি। কর ব্যবস্থার সরলীকরণ করতে প্রত্যক্ষ কর বিধিতে তিনটি মাত্র করের হার (১০%, ২০% এবং ৩০%) থাকার কথা। অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা কোম্পানি করের হারও (৩০%)। সব সুপারিশ-সহ ওই বিল এক সপ্তাহের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে বলে কমিটির দাবি। |