|
|
|
|
ট্রাক চালককে মার, অবরোধ রামপুরহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
দাবি মতো তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় এক ট্রাক চালককে মারধর ও দু’টি ট্রাকের কাচ ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে রামপুরহাট থানার পাখুড়িয়া মোড়ের কাছে ঘণ্টা দু’য়েক পথ অবরোধ করেন চালকেরা। শুক্রবার ট্রাকচালকদের অবরোধের জেরে মনসুবা মোড় লাগোয়া রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ সারি দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে ব্যহত হয় যানচলাচল। শেষ পর্যন্ত অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ এবং তোলা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি, বারোমেশিয়া, দিঘলপাহাড়ি, ধরমপাহাড়ি, তেঁতুলবাঁধি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকা ছাড়াও, ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার পাথর শিল্পাঞ্চলে যাওয়ার একমাত্র বাইপাসের দূরত্ব রামপুরহাট মনসুবা মোড় থেকে ঝনঝনিয়া সাঁকো পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার। সেই রাস্তায় প্রায় দিনই চাঁদা বা তোলা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ট্রাকচালক বিহারের দীনেশ রায়ের অভিযোগ, “ওই ৬ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১ কিলোমিটার অন্তর কখনও চাঁদা আদায়কারীরা, কখনও তোলাবাজরা কোনও কারণ ছাড়া পাথর বোঝাই করতে আসা ট্রাকের কাছে টাকা চাইছে। দাবি মতো টাকা দিতে না পারলে হামলা করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “এ দিনও দু’জায়গায় তোলাবাজদের টাকা দেওয়া হয়। ফের আর এক জায়গায় ৫০ টাকা চাওয়া হয়। আমি ওদেরকে বলি আগে দু’জায়গায় টাকা দিয়েছি। আমার কাছে ৫০০ টাকা আছে। খুচরো নেই। এর পরে ওরা মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে। ট্রাকের কাচ ভাঙতে থাকে। তা দেখে অন্য ট্রাক চালকেরা নেমে পড়েন। একজন হামলাকারীকে আটকে রাখেন।” এর পরেই ট্রাক চালকেরা অবরোধ করেন, পরে পুলিশের হাতে ওই হামলাকারীকে তুলে দেন। ট্রাকচালকদের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ ব্যাপারে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভদেশ পাঠক বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাস্তায় তোলাবাজ বা চাঁদা আদায়কারীদের সন্ধান চালানো হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|