সুতোর সমস্যা মেটার আশায় তাঁতিরা |
কাপড়ের পাড় তৈরির সুতোর অভাব মেটাতে সম্প্রতি বেসরকারি উদ্যোগে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর এলাকায় চালু হল একটি ‘টুইস্টিং’ মিল। সেই মিলেই তৈরি হতে শুরু করেছে কাপড়ের পাড় তৈরির সুতো। সম্প্রতি মিলটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। বহু বছর ধরেই পূর্বস্থলীর দু’টি ব্লকে কয়েক হাজার তন্তুজীবী পরিবারের বাস। কাছাকাছি সুতো না মেলায় তাঁদের ছুটতে হত হাওড়ায়। খরচও বেশি হত তাতে। তাই কাছাকাছি এ রকম একটি মিল চালু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাপড়ের পাড়ে বেশির ভাগই সিন্থেটিক পলেস্টারিয়াল সুতো ব্যবহৃত হয়। ওই সব সুতো ৭৫, ৯০, ১২০ কাউন্টে তৈরি হয়। ওই মিলের মালিক গোবিন্দ বর্মন বলেন, তামিলনাড়ু ও সুরাট থেকে ওই সুতো তৈরির কাঁচামাল আনানো হয়। তা দিয়ে মেশিনে ‘ডবল সুতো’ তৈরি হয় যা পাড় তৈরির কাজে লাগে। তাঁর দাবি, তিন বিঘা জমির উপরে তৈরি হওয়া ওই মিলে মাসে ২০ টন সুতো তৈরি হবে। পাশাপাশি, একটি জরি প্রকল্পের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্বপনবাবু বলেন, “রাজ্যে এই ধরনের কারখানা রয়েছে হাতে-গোনা। শুধু পূর্বস্থলী নয়, এই উদ্যোগে পাশাপাশি নদীয়া, হুগলির তাঁতিরাও উপকৃত হবেন।” শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মল্লিকের কথায়, “বাইরে থেকে সুতো কিনলে কিলো প্রতি ১৫ টাকা করে খরচ পড়ত। এলাকায় কারখানা হওয়ায় উপকৃত হবেন তাঁতিরা।”
|
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৬ |
চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অঞ্জন বন্ধু, অর্ধেন্দু সামন্ত, সূর্য কুণ্ডু, সৌগত হাজরা, হৃদয় রায় ও মানিক লোহার। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক অঞ্জন বন্ধু, অর্ধেন্দু সামন্তকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে ও বাকিদের ১২ দিনের জন্য জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান-কালনা রোডে বর্ধমান শহরের বাদামতলায় ২০০৯ সাল থেকে একটি ঘরভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সরকারি চাকরির, জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প ও পঞ্চায়েত সহায়ক পদের চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি সংস্থা টাকা তুলছিল। অঞ্জন বন্ধু হল ওই সংস্থার এমডি। বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করছিল ওই ছ’জন। হাটগোবিন্দপুরের বাসিন্দা নিবেদিতা সামন্ত-সহ বেশ কয়েক জন বৃহস্পতিবার বর্ধমান থানায় অভিযাগ দায়ের করেন। এর পরে পুলিশ ছদ্মবেশে তদন্তে যায় ও তাদের গ্রেফতার করে। আটক করা হয় কয়েক হাজার জাল নিয়োগপত্রও। অফিসটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
|
রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে মহিলা কংগ্রেস |
কাটোয়ার কেতুগ্রামের এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন প্রদেশ কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীরা। রাজ্যপাল যে দিন তাঁদের সময় দেবেন সে দিনই তাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণা দেবনাথ। ট্রেন থেকে নামিয়ে কেতুগ্রামের এই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে জোট শরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বৃহস্পতিবারই কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কৃষ্ণাদেবী, রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মালা রায় প্রমুখ কেতুগ্রামে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ দিন কৃষ্ণাদেবী জানান, তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছেন। তাঁ কথায়, “রাজ্যপালের কাছেও আমরা স্মারকলিপি দিয়ে দোষীদের শাস্তি চাইব। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগ জানাব।” প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, অতীতে বানতলা, ধানতলায় ‘মহিলা নির্যাতনে’র প্রতিবাদে তাঁরা যেমন বিক্ষোভ-আন্দোলন সংগঠিত করেছেন, প্রয়োজনে এখনও তেমন আন্দোলনে যেতে পারেন। মান্নান, বলেন, “কেতুগ্রামের ঘটনায় রাজ্য সরকার এমন সমস্ত কথা বলছে, যাতে সাধারণ মানুষের ধারণা হচ্ছে, আগের বাম সরকারের সঙ্গে এই সরকারের কোনও তফাৎ নেই।” |