|
|
|
|
ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরিতে ঢিলেমি, অভিযোগ কর্মী সংগঠনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জেলায় ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্ক’ তৈরির কাজে গতি নেই। তাই শিল্প স্থাপন তো দূর, গরিব মানুষের মধ্যে পাট্টা বিলিও করা যাচ্ছে না। এমনই অভিযোগ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ ল্যান্ড অ্যান্ড ল্যান্ড রিফর্মস এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি।
ওই সংগঠনের সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হক জানান, গ্রামের পড়ে থাকা জমি নিয়ে তৈরি হয় ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। তা খাস জায়গা বা অনাবাদি জমি হতে পারে। বাঁধ বা সেচখালের পাশে পতিত জমিও মানুষকে পাট্টা দেওয়া যেতে পারে। মোজাম্মেল হকের দাবি, উপযুক্ত সংখ্যক কর্মী না থাকায় এই ধরনের জমির দাগ ও খতিয়ান অনুযায়ী জমি চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। অনেকে পরিত্যক্ত জমির তালিকা দফতরে জমা দিয়ে পাট্টার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু দাগ ও খতিয়ান মিলিয়ে দেখে জমি চিহ্নিত করার কাজ এগোচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
মোজাম্মেল হকের দাবি, “জেলায় গত বছরের গোড়া থেকে শুরু হয়েছে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির কাজ। এই কাজে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০০ একর জমি চিহ্নিত করা গিয়েছে। অথচ আরও অন্তত ২০০০ একর জমি চিহ্নিত না করা গেলে শিল্প স্থাপন তো দূর, গ্রামের গরিব মানুষদের পাট্টা দেওয়ার কাজও করা যাচ্ছে না।” এই কাজে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে বলে ওই সংগঠনের দাবি। সম্পাদকের কথায়, “গত কয়েক মাসে বর্ধমান জেলায় মাত্র ৫০০ লোককে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা মাথা পিছু ৮-১০ কাঠা জমি পেয়েছেন। কিন্তু পাট্টার জন্য আবেদন জানিয়ে রেখেছে অন্তত দু’হাজার মানুষ। প্রশাসনিক শৈথিল্যে তাঁদের জমি দেওয়া হয়ে উঠছে না।” বর্ধমান সদরে প্রায় ৭০ জনকে পাট্টা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। গলসিতে পাট্টা পেয়েছেন মাত্র ৩০-৪০ জন। সংখ্যাটা দ্রুত বাড়া প্রয়োজন।” এই সব দাবিতে সম্প্রতি জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও করেন ওই সংগঠনের সদস্য-সমর্থকেরা।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সৈকত দত্ত অবশ্য শৈথিল্যের অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “ওঁরা ভুল তথ্য দিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে এই জেলায় ১৬০০ ভূমিহীন বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৮০ একর জমি বিলি করেছি। ল্যান্ড ব্যাঙ্কের কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। আমরা ইতিমধ্যে রাজ্য দফতরের কাছে মোট ২৫,৩১৪ একর খাস জমি চিহ্নিত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। জমির তথ্য সম্বলিত সিডি-ও জমা দিয়েছি।” তবে তিনি মেনে নেন, এই চিহ্নিত হওয়া খাস জমির মধ্যে রাস্তা, জলাশয় ইত্যাদিও রয়েছে। শুধু জমির পরিমাণ কতটা, তা এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তা চিহ্নিত হলেই শিল্প স্থাপনের কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি। সৈকতবাবু বলেন, “বিভিন্ন সরকারি বিভাগের হাতে থাকা অপ্রয়োজনীয় জমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে রিপোর্ট না পাওয়ায় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|