|
|
|
|
নকশা বহির্ভূত নির্মাণে অভিযুক্ত প্রোমোটার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
নকশা না মেনে নির্মাণ করেছেন প্রোমোটার। দোকান গড়ে আটকে দেওয়া হয়েছে আবাসনে ঢোকার হাঁটা পথও। আসানসোলের মেয়র, পুলিশ কমিশনার থেকে প্রশাসনের নানা স্তরে চিঠি লিখে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন আসানসোলের আপকার গার্ডেন এলাকার একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, আপাকরা গার্ডেনের ওই আবাসনটির নকশা অনুমোদন পায় ২০০২-এর ১ মার্চ। সেই নকশার ভিত্তিতে ওই বহুতলে ২০ জন আবাসন কেনেন। এখন আবাসিকদের অভিযোগ, অনুমোদন ছাড়াই ওই বহুতলের এক তলায় একটি ‘গার্ড রুম’ নির্মাণ করেছেন প্রোমোটার ধনঞ্জয় দা।ঁ এর পরে পূর্ব দিকে ফাঁকা জমিতেও একটি ঘর গড়া হয়েছে। নকশায় পার্ক হিসেবে চিহ্নিত জায়গায় প্রোমোটার গ্যারাজ নির্মাণ করে বহিরাগতদের বিক্রি করেন। হেঁটে ঢোকার রাস্তা আটকে দোকান নির্মাণ করে বিক্রি করেছেন। এখন গাড়ি ঢোকার পথই প্রধান রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সব অভিযোগ জানিয়ে ২০ জন আবাসিক মাস তিনেক আগে মেয়রকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী, আবাসনমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি ফের সেই আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন তাঁরা।
কয়েক বছর আগেই নকশা বহির্ভূত নির্মাণ ভাঙার অভিযানে নেমেছিল পুরসভা। মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ক্ষমতায় আসার পরে আমরা নকশা বহির্ভূত নির্মাণে অভিযুক্তদের জরিমানা জমা দিতে বলেছিলাম। বর্ধিত অংশ ভাঙার বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছিল। আমাদের কথা শোনেননি এমন ২৭টি প্রোমোটার সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের নকশা অনুমোদন করা হবে না।” আপকার গার্ডেনের আবাসনটি নিয়ে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আবাসিকদের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাওয়া উচিত। আমরা আর ওই সংস্থার নকশা অনুমোদন করব না।” অভিযুক্ত প্রোমোটারের অবশ্য দাবি, “যা নির্মাণ হয়েছে তা নকশা মেনেই হয়েছে।” পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের পক্ষে যতটা পদক্ষেপ করা সম্ভব তা করা হবে।” |
|
|
|
|
|