মালদহের চাঁচল কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার পদে অনিতা চক্রবর্তীকে পুনর্বহাল করতে প্রশাসককে নির্দেশ দিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপা দত্ত। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষাপটে উপাচার্য চিঠি মারফৎ ওই পুনবর্হালের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রতিনিধিরাও চাঁচল কলেজ পরিদর্শন করেছেন। উপাচার্য বলেছেন, “আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রশাসককে চিঠি দিয়ে অনিতা দেবীকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছি।” প্রশাসক প্রাণতোষ সেন অবশ্য উপাচার্যের চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন। প্রশাসক বলেন, “উপাচার্যের পাঠানো এরকম কোনও চিঠি এখনও পাইনি।” কলেজ সূত্রের খবর, গত বছর নভেম্বর মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা অনিতা দেবীকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয় কলেজের এক শিক্ষক গাহুল আমিনকে। তাঁকে অবৈধ ভাবে প্রশাসক প্রাণতোষবাবু অপসারণ করেছেন বলে আদালতের দ্বারস্থ হন অনিতাদেবী। অনিতা দেবীর দাবি, ওই মাসেরই ২৫ তারিখে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু ওই রায় না-মানায় অবমাননার অভিযোগে অনিতা দেবী ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার রায়ও অনিতা দেবীর পক্ষে যায়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে গাহুল আমিনকে সরানোর স্পষ্ট নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া পূবের্র্র আদেশ না-মানায় বিপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করে ‘রুল’ জারি করা হয়। এই অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে অনিতা দেবীর বাড়িতে প্রশাসককে পাঠানো ওই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়। অনিতা দেবীর অভিযোগ, “আদালতের রায়ে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার পদ ফিরে পেলেও আমাকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সোমবার রাতে উপাচার্য আমাকে ফোনে ওই চিঠির কথা জানান। কিন্তু আমি বলি যে ওই ধরনের কোনও চিঠি পাইনি। আমি কলকাতা রওনা হওয়ার পরে বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়। ছেলে তা নিয়েছে।” |