জমিতে সেচের জল নিয়ে সংঘর্ষের জেরে চারজন মহিলা-সহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ধৃতদের জামিন নামঞ্জুর করেন। গোলামালে ব্যবহার করা অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে ইউসুফ আলিকে ৫দিনের পুলিশ হেফাজতে এবং বাকি চার মহিলাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বাসির আলির দাদা ইউসুফ আলি ও তার দুই মেয়ে মানতাসা খাতুন, সাকিলা খাতুন রয়েছে। বাকি দুইজন হলেন পারভিনা খাতুন ও ইসমাতারা খাতুন। চাষের জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুরের কাতলামারি গ্রামে দুই পরিবারের গোলমালকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাগুলির লড়াইয়ে দুই বোন-সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। বোমার আঘাতে জখম হয়েছিলেন ৬ জন। অভিযোগ, কংগ্রেসের বাসির আলি দলবল নিয়ে তৃণমূল সমর্থক উনসাহক শেখের বাড়িতে হামলা করে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে উনসাহকের দুই মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শুকতারা ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিতারা গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর উনসাহকের স্ত্রী হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তার পরে হামলা ঘটনায় উনসাহক শেখের স্ত্রী সামেদা বিবি, বাসির আলি সহ ১৮ জনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকিদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে।” এদিকে অভিযুক্ত বাসির আলিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শুকতারা খাতুনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা ওই ছাত্রীর অস্ত্রোপচারও করেন। শুকতারা খাতুনের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় চিকিৎসকেরা তাকে কলকাতায় রেফার করেছেন। গত বৃহস্পতিবারই তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দাদা আলম হোসেন বলেন, “চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বোনের কিডনি, পাকস্থলী, যকৃৎ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। বোনকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে বাসির আলির ঘনিষ্ঠ দাউদ শেখের ছেলে শাহাজাদকে খুন করার অভিযোগে উনসাহক শেখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের মামলা এখনও চলছে। পাশাপাশি বাসির আলির বিরুদ্ধেও উনসাহক শেখের উপর হামলার অভিযোগের মামলা রয়েছে। বুধবারে সংঘর্ষের ঘটনার পর গোটা কাতলামারি থমথমে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। |