নকশা ছাড়াই নির্মাণের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কোনও রকম নকশা অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ কাজের অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। একই ক্যাম্পাসে থাকা শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার পুরসভায় গিয়ে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তকে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, কোনও রকম প্ল্যান ছাড়াই শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। কমার্স কলেজের নিজস্ব পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। তাদের জায়গা না-থাকায় ক্যাম্পাসের প্রায় ১০ কাঠা ওই জায়গা পরিকাঠামো গড়ার জন্য তাঁরা চেয়েছিলেন। তা আটকাতেই শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ কোনও রকম প্ল্যান ছাড়া নির্মাণ কাজ করছেন। মেয়র বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কলেজে নির্মাণের কোনও প্ল্যান পাশ হয়েছে বলে জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত হবে।” শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মলয় করঞ্জাই জানান, বিগত সরকারের আমলেই সেখানে কলেজের শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। নির্মাণ কাজ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের করার কথা ছিল। তিনি বলেন, “আমরাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন বলেছিলেন। সম্প্রতি জেলাশাসকের দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয় কাজের বরাত নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো এসজেডিএ’র অধীনে কাজ হচ্ছে বলেই জানি।” এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ অবশ্য মলয়বাবুর বক্তব্য অস্বীকার করেছেন। এসজেডিএ চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি বাম জমানায় কলেজের শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ আর্থিক বরাদ্দ দেয়। ওই কাজের জন্য এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা সেই টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিয়েছি। ওই কাজ এসজেডিএ’র তরফে করা হচ্ছে না।” এসজেডিএ’র বক্তব্য জেনে মলয়বাবু ফের বলেন, “খোঁজ নিয়ে পরে জেনেছি জেলাশাসকের দফতর থেকে ওই কাজ হচ্ছে।” মলয়বাবুর ওই মত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ দিন শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে শিক্ষক সন্দীপন ভট্টাচার্য পুরসভায় গিয়ে মেয়রকে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, “বহু বছর আগে শিলিগুড়ি কলেজের ক্যাম্পাসেই কমার্স কলেজকে ব্যবহারের জন্য জায়গা দেওয়া হয়। সেই নথিও আমাদের আছে। আমাদের কলেজের পরিকাঠামোর অভাব আছে। জায়গা না-থাকায় ওই জমি চেয়ে শিলিগুড়ির বিধায়কের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তা বানচাল করতেই এ ভাবে নির্মাণ কাজ হচ্ছে।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর আগেও কলেজের তিনতলায় অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় কলেজ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল। ফের এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
|