স্বাস্থ্য দফতরের ‘বিল জালিয়াতিতে’ সাসপেন্ড থাকা রঘুনাথপুরের অতিরিক্ত ট্রেজারি অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করল প্রশাসন। রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক আবিদ হোসেন বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত ট্রেজারি অফিসার প্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রসঙ্গত প্রতীকবাবুকে আগেই ‘সাসপেন্ড’ করে মহাকরণের অর্থ দফতরে দৈনিক হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের উপর ‘ভুয়ো বিল’ তৈরি করার পর ওই বিলের প্রেক্ষিতে মোট ৩০টি ‘চেক’ তৈরি করে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জালিয়াতি করা হয়েছিল। তবে টাকা তোলার আগেই জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে প্রশাসনের নজরে। প্রাথমিক তদন্তের পরে ট্রেজারি অফিসের দুই কর্মীকে ‘সাসপেন্ড’ করেছিল জেলা প্রশাসন। পুরো বিষয়টি রাজ্যের কাছে জানিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা দরকার বলে জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। অর্থ দফতরের প্রাথমিক তদন্তের পরেই ওই অতিরিক্ত ট্রেজারি অফিসারের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য মেলে। এর পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
মহকুমা শাসক আবিদ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের তদন্তের পর রাজ্য অর্থ দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা তদন্ত করেছিলেন। পরে তদন্ত করে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনও। তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরেই অতিরিক্ত ট্রেজারি অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্তের পর বিল জালিয়াতির ঘটনায় অতিরিক্ত ট্রেজারি অফিসারের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার কাজ চলছে। বিল জালিয়াতির ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেই দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” চেষ্টা করেও অভিযুক্ত আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |