|
|
|
|
নিখোঁজ জওয়ানের দেহ ইছামতীর চরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
নিখোঁজ এক বিএসএফ জওয়ামনের দেহ পাওয়া গেল ইছামতী নদীর চরে। পুলিশ জানিয়েছে, বিনোদ কুমার (৩৫) নামে ওই জওয়ান উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি চৌকিতে ১৮ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। বুধবার হাসনাবাদের আবাদ মোহনপুর গ্রামে ইছামতীর চর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। গত তিনদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই জওয়ানের এক সহকর্মী ও এক মাঝিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পরে বিএসএফের ডিআইজি দেবেন্দ্র সিং ভাঁটি হাসনাবাদে আসেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে বিএসএফ এবং পুলিশ যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশর অনুমান জলে ডুবে ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ এবং বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে সাহেবখালি চৌকি থেকে সঙ্গী রাম নিবাসের সঙ্গে হাসনাবাদের উদ্দেশে বের হয়েছিল স্পিড বোট ও ভুটভুটির তেল আনার জন্য। সকাল ৮টা নাগাদ তাঁরা হাসনাবাদে পৌঁছন। তেল নিয়ে সন্ধের মধ্য ফেরার কথা থাকলেও অনেক রাতেও না ফেরায় হাসনাবাদের বিএসএফ ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনাটি জানানো হয় বিএসএফের পদস্থ আধিকারিক এবং পুলিশকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আমলানি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ মণ্ডলের নৌকায় ওই দুই জওয়ানকে উঠতে দেখা যায়। এর পরেই পুলিশ সুভাষ ও রামনিবাসকে আটক করে। পুলিশের বক্তব্য, জেরায় সুভাষ ও রামনিবাস জানায়। সাহেবখালিতে ফিরে আসার সময় বিনোদ নদীতে পড়ে গিয়ে ডুবে যান। এর পরেই পুলিশ ও বিএসএফ বিনোদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে। তবে কী ভাবে বিনোদ জলে পড়ে গেলেন? তখন নৌকার মাঝি সুভাষ ও আর এক জওয়ান রামনিবাস কী করছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|