|
|
|
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ভাঙচুর, আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল জগদ্দলের গুড়দহ। অভিযোগ, সুবল নন্দী-সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থকের হাতে বেধড়ক মার খেলেন এলাকায় তৃণমূলের যুব নেতা বলে পরিচিত অরুণ ব্রহ্ম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। এরপরেই অরুণ ব্রহ্মের অনুগামীরা সুবলবাবুর বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুরের পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়ে যায় বাড়ির একাংশ, বাড়ি লাগোয়া একটি দোকান ও একটি ভ্যানরিকশা। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অমিত সিংহের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। হামলাকারীদের হটাতে লাঠি চালায় পুলিশ। পরে অরুণবাবুর উপর হামলা চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুবল নন্দীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
সুবলবাবুর দাবি, ‘‘এলাকায় নিজেকে তৃণমূল নেতা বলে দাবি করে যা খুশি তাই করছিলেন অরুণবাবু। আমার বউদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তিও চলছিল।’’ জগদ্দলে তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল তৃণমূলের যুব নেতা অরুণবাবুর। শিল্প ধর্মঘটের দিন শ্যামনগরে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিজের গোষ্ঠীর লোকেদের নিয়ে মিছিল বের করেন তিনি। এটাকে ভাল চোখে দেখেননি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক পরশ দত্ত বলেন, ‘‘অরুণ ব্রহ্ম দলকে কলুষিত করছিল। ছ’মাস আগেই ওঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি। সুবল নন্দীও তৃণমূলের কেউ নয়। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘একটা গন্ডগোল হয়েছে। অরুণ মার খেয়েছে ও সুবল নন্দীর বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে শুনেছি। ওই এলাকার বিধায়কের সঙ্গে কথা বলছি।’’ যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতা পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘পরশবাবু এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন কি করে যে ওঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন সুবল ও অরুণ। গোষ্ঠীকোন্দলকে এ ভাবে লোকের চোখে ফাঁকি দেওয়া যায়।’’ |
|
|
|
|
|