টুকরো খবর
বিকাশ ভারতীতে দেহ
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
এক প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ মিলল ঝাড়গ্রামের গড়-শালবনিতে। স্থানীয় বিকাশ ভারতী এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনা। মৃত ভবেশ মাহাতো (৫৪) ঝাড়গ্রাম বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাকর্মী। বাড়ি ঝাড়গ্রামের ঘৃতখাম গ্রামে। ভবেশবাবুর দুই ছেলে দেবাং মাহাতো ও দুলাল মাহাতোকে মাওবাদী সন্দেহে গত বছর গ্রেফতার করে পুলিশ। রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন, অপহরণ ও হামলা-নাশকতার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত দেবাং ও দুলাল বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। ভবেশবাবুর স্ত্রী রেণুকাদেবী বলেন, “উনি (ভবেশবাবু) সকালে সাইকেলে চেপে ঝাড়গ্রামের কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। ছেলেদের হাজিরার দিন থাকায় আমিও তাদের সঙ্গে দেখা করতে ঝাড়গ্রাম আদালতে যাই। সন্ধ্যায় ফেরার বাসে বিকাশ ভারতীতে নামার পর জানতে পারি, আমার স্বামীকে পাথর দিয়ে থেঁতলানো হয়েছে। গিয়ে দেখি একটি বাড়ির পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় উনি পড়ে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উনি মারা যান।” রেণুকাদেবীর অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় কয়েকজন মিলে আমার স্বামীকে খুন করেছে।” খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বিকাশ ভারতী এলাকায় গিয়ে মৃতদেহ নিয়ে আসে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম মর্গে ভবেশবাবুর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

কেশপুরে বোমাবাজি
ফের বোমবাজি হয়েছে কেশপুরে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেশপুরের খেজুরবনি, শাঁকপুর ও তার আশপাশের এলাকায়। বুধবার এখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তার জেরেই বৃহস্পতিবার সকালে বোমাবাজি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পুলিশের অবশ্য দাবি, এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। কে বা কারা বোমা ফাটিয়ে এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেশপুর থানার ওসি আবদুর রউফ খান বলেন, “ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।” বুধবার বিকেলে কেশপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আহত হন দু’জন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে ওই দিন দুপুরে কেশপুর বাজারে দলীয় এক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী। এই ঘটনায় সামনে আসে ‘মতানৈক্য’। ‘বিরোধ’ দেখা দেয় অঞ্চল সভাপতি এজহার আলি ও প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আজফার আলি মির্জার অনুগামীদের মধ্যে। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ইট ছোঁড়াছুড়ি হয়। ইটের ঘায়েই আহত হন শেখ ফিরোজ আলি ও শেখ হাবিবুল। সন্ধ্যার পর উত্তেজনা ছড়ায় খেজুরবনি, শাঁকপুর ও তার আশপাশের এলাকায়। খবর পেয়ে খেজুরবনিতে পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য ইট ছোঁড়া হয়। তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি আশিষ প্রামাণিক বলেন, “দলীয় কর্মী-সমর্থক নন, উত্তেজিত জনতাই পুলিশ গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়েন।” বৃহস্পতিবার সকালে খেজুরবনি ও শাঁকপুরে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রাই বোমার শব্দ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

হলদিয়ায় বিক্ষোভ
‘ক্যাম্পাসিং’য়ের দাবিতে ফের বিক্ষোভ দেখাল হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো পড়ুয়া। তালা ভেঙে শিক্ষকেরা কলেজে ঢুকে পড়লে ছাত্রদের সঙ্গে বচসা বাধে। বাদানুবাদ বাড়তে থাকলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। নন্দীগ্রাম ‘নিখোঁজ-কান্ডে’ পলাতক প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আইকেয়ার’ পরিচালিত হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ডিসেম্বর থেকে কোনও রকম ‘ক্যাম্পাসিং’ হচ্ছে না। অথচ শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ট্রেনিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট অফিসার (টিপিও) অরূপ মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন কোনও টিপিও নিয়োগও করছেন না। তাই ক্যাম্পাসিংয়ের দাবিতে গত ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি কলেজে বিক্ষোভ দেখান চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, কলেজের ৮৫০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৫৪৭ জনই চাকরি পায়নি। কলেজের রেজিস্ট্রার অঞ্জন মিশ্র অবশ্য বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে অর্ধেক পড়ুয়াই চাকরি পেয়েছেন। নতুন টিপিও আগামী সোমবারই আসবেন। কিছু ছাত্র ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে।”

দরজা ভেঙে চুরি
চুরি হয়েছে ঘাটালের কুশপাতায় এক প্রাক্তন শিক্ষকের বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে অন্তত ৮-১০ জন দুষ্কৃতী বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকে। দুষ্কৃতীরা আলমারি ও সিন্দুক ভেঙে সোনার গয়না, নগদ টাকা এবং অন্য আসবাব নিয়ে চম্পট দেয়। বাড়ির এক সদস্য দেবাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাবার কলকাতার নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে। সে জন্য সবাই কলকাতায় ছিলাম। বাড়ি তালাবন্ধ। বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতা থেকে বাড়িতে আসি। দেখি দরজা খোলা। তারপর পুলিশকে খবর দিই।” এ দিকে, দিন দিন ঘাটাল শহরে প্রায়ই চুরি এবং ছোটখাটো ডাকাতি হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত দেড় মাসে ঘাটালে প্রায় ১৫টি চুরি হয়েছে। শুধু বাড়ি-দোকান নয়, মোটরবাইক চুরি বাড়ছে। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও শহরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বন্ধ হয়নি।

ফের হাড়গোড় উদ্ধার ময়নায়
ফের মাটি কাটার সময় হাড়গোড় উদ্ধার হল ময়নার বাঁকি গ্রামে। বুধবার একশো দিনের কাজে মাটি খোঁড়ার সময় হাড়গোড় দেখতে পান শ্রমিকেরা। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় চারটি হাড়ের টুকরো। বৃহস্পতিবার সকালে ফের ওই এলাকায় মাটি কাটার সময় হাড়গোড় ও চোয়ালের কিছু অংশ উদ্ধার হয়। বারবার এই ভাবে একই এলাকা থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ময়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাড়গোড়গুলি উদ্ধার করে এ দিন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, হাড়গোড়গুলি মানুষের। তবে, তা দীর্ঘ দিনের পুরনো। ওই এলাকায় আগে জঙ্গল ছিল। স্থানীয় তিলখোজা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সাহাজান আলি বলেন, “এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার দাবি জানিয়েছি পুলিশের কাছে।” পুলিশ জানিয়েছে, হাড়গোড়গুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এখনও পর্যন্ত হাড়গোড়ের দাবি জানায়নি কেউ। তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু ছাত্রীর
স্কুলে যাওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর। বৃহস্পতিবার সকালের ওই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা এগরা-বাজকুল রোড প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর থানা এলাকার কোটবাড় গ্রামে। মৃত ছাত্রীর নাম তামান্না খাতুন (৬)। এ দিন সকালে সে কলাবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলে যাচ্ছিল। সেই সময় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বাজকুলের দিক থেকে আসা একটি ছোট গাড়ি তামান্নাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। বেগতিক বুঝে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় চালক। তার জেরে আরও উত্তেজনা ছড়ায়। পরে অভিভাবক এবং পুলিশের উদ্যোগে অন্য একটি গাড়িতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছে দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের।

মৃত্যু কর্মরত শ্রমিকের
কারখানায় কর্মরত অবস্থায় ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার টাটা কেমিক্যালস্-এ। মৃত শ্রমিকের নাম শেখ মোজাফ্ফর (২২)। বাড়ি বারসুন্দরা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ কারখানার ছাদে আলুমিনিয়াম শিট বদলের কাজ করছিলেন তিনি। হঠাই সেফ্টি বেল্ট লাগাতে গেলে পা পিছলে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

মহিলার দেহ উদ্ধার
অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে দিঘা মোহনার কাছে রাস্তার ধারে একটি মাছের ভেড়িতে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

প্রশিক্ষণ শিবির
বিপর্যয় মোকাবিলার লক্ষ্যে এক দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল হলদিয়ার পুর পাঠভবন। বৃহস্পতিবার এই প্রশিক্ষণ শিবিরে বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী যোগ দেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের শিক্ষক অনুপম পালোধি। তিনি জানান, ভূমিকম্প থেকে আগুনসমস্ত রকম বিপদ মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.