মহমেডান-৪ (স্ট্যানলি-২, তপন, অ্যালফ্রেড)
প্রয়াগ ইউনাইটেড-৩ (জোসিমার-২, ইয়াকুবু) |
বহু দিন পর দেখা গেল মহমেডান জনতার উল্লাস। যুবভারতীর করিডরে তাঁরা কোলে তুলে নিচ্ছিলেন স্ট্যানলি-অ্যালফ্রেডদের। প্রয়াগ ইউনাইটেডকে ৪-৩ হারানোই শুধু নয়, কলকাতা লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়েও দারুণ ভাবে টিকে থাকল কোচ অলোক মুখোপাধ্যায়ের দল।
মহমেডানের ন’ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। ইস্টবেঙ্গলেরও একই পয়েন্ট আট ম্যাচে। মোহনবাগানের আট ম্যাচে ১৭। লাল-হলুদ যদি টালিগঞ্জ অগ্রগামীর কাছে হারে আর মোহনবাগান বাকি দু’ম্যাচের একটিতে হারে, সে ক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে মহমেডান ইস্টবেঙ্গলকে হারালেই চ্যাম্পিয়ন। এ দিকে বিরতির পর কাঁধের চোট সারিয়ে প্রায় দেড় মাস পর মাঠে নামলেন লালকমল ভৌমিক। যদিও মিনিট ৪০ পর তাঁকে তুলে নিতে হয়।
৯০ মিনিট আগাগোড়া প্রাধান্য ছিল মহমেডানেরই। যে কথা অকপটে মেনে নিলেন প্রয়াগ কোচ সঞ্জয় সেনও। যদিও প্রয়াগের দীপক মণ্ডল চোটের জন্য খেলেননি। আর স্টপার বেলো রজ্জাক ছিলেন রিজার্ভে। ম্যাচের সবচেয়ে উত্তেজক ছিল ৭০ থেকে ৮০ এই ১০ মিনিট। যে সময়ে পাঁচটি গোল হল। অলোক বলছিলেন, “স্টপারে হাসান থাকলে তিনটে গোলও খেতে হত না। আমরা তো ওদের ভাল করে খেলতেই দিইনি।”
ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটেই ১-০ করেন স্ট্যানলি। অনূর্ধ্ব উনিশ মনিরুল ইসলামের ক্রসে শট করেছিলেন অ্যালফ্রেড। বারে লেগে ফেরার পথে স্ট্যানলি শট মারেন। বিরতির পরই ২-০ তপন মাইতির। দূর থেকে নেওয়া গড়ানো শট, সামনে ডিফেন্ডার থাকায় দেখতে পাননি প্রয়াগের গোলকিপার সোমনাথ খাঁড়া। এর পরই শুরু গোলের ঝড়। ৭০ মিনিটে গৌরাঙ্গের পাস থেকে জোসিমারের ২-১। দু’মিনিট পর ইয়াকুবুর ডান পায়ের সাইডভলিতে ২-২। ৭৩ মিনিটে অ্যালফ্রেডের দূরপাল্লার শটে ফের ৩-২ এগোল মহমেডান। পরের মিনিটেই অর্জুনের লম্বা ক্রসে সুন্দর টাচে ৩-৩ জোসিমারের। ৮০ মিনিটে লালকমলের ভুলে বল স্ট্যানলির পায়ে। অ্যালফ্রেডের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে স্ট্যানলির গোলেই ৪-৩।
বাকি থাকা ইস্টবেঙ্গল ম্যাচটাও এ ভাবেই জিততে চান অলোক। তাতে মোহনবাগান না মহমেডান কার সুবিধা হয় সেটাই দেখার। |