ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে তারা খেলতে পারবে কি না, তা জানতে ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে শুক্রবার পর্যন্ত। তার আগে আজ আপাতত প্র্যাক্টিস বন্ধ থাকল মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের।
এক দিন আগেই ব্রিসবেনে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। এখানেই আগামী রবিবার ফাইনাল। কিন্তু এ দিন প্র্যাক্টিস থেকে ছুটি নিলেন ধোনিরা। বোঝাই যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকে এতটাই উৎকন্ঠিত ভাবে তাকিয়ে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা, যে নেট প্র্যাক্টিস ব্যাপারটা পিছনে পড়ে গিয়েছে।
এও জানা গিয়েছে, তাঁদের সামনে ফাইনাল খেলার রাস্তা খোলা থাকবে, তা হোবার্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভাবতে পারেননি বেশ কয়েক জন ভারতীয় ক্রিকেটার। কয়েক জন নাকি দেশে ফেরার টিকিট জোগাড় করতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এখন অবশ্য পরিস্থিতিটা অন্য। কাল টিভি-র সামনে বসে মাইকেল ক্লার্কের দলের হয়ে গলা ফাটাতে তৈরি কোহলিরা। |
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার লড়াইটা কার সঙ্গে হবে, তা ঠিক করার অঙ্কটা খুব সহজ। শ্রীলঙ্কা যদি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায়, ফাইনালে চলে যাবে ভারত। কারণ তখন ভারত-শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট (১৫) এক হলেও জয়বর্ধনেদের বেশি বার হারানোর ফলে ফাইনালে যাবেন ধোনিরা। শ্রীলঙ্কা যদি জেতে, টাই হয় বা কোনও কারণে ম্যাচ ভেস্তে যায়, তা হলে ফাইনাল খেলবে জয়বর্ধনের দল।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের একটা মহল মনে করছে, ভারতের হাতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার আর ফিরে আসা কঠিন। যদিও জয়বর্ধনে বলছেন, “শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে একটা ব্যাপার আমাদের পক্ষে যাচ্ছে। সেটা হল, ফাইনালে যাব কি না, তা নির্ভর করে থাকবে আমাদের নিজেদের উপর। অন্য কারও দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।” কালকের ম্যাচে চোটের জন্য পারভেজ মাহরুফকে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। সে জায়গায় বাড়তি স্পিনার খেলানো হতে পারে।
উল্টো দিকে অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি পুরো সুস্থ নন। তাঁর পায়ে চোট আছে। যদিও লি জানিয়েছেন, যন্ত্রণা নিয়েই তিনি খেলে যেতে তৈরি। তবে ফাইনালের আগে কোনও ঝুঁকি নাও নিতে পারেন মাইকেল ক্লার্ক। সে ক্ষেত্রে জেমস প্যাটিনসনকে কাল খেলতে দেখা যেতে পারে।
|