কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত সারান্ডা উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকিতে এখনও জেলাস্তরে কোনও মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়নি। কাজের গতি বাড়াতে ওই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অফিসাররা।
সারান্ডা উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতির পর্যালোচনা করতে গত কাল রাঁচিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ বৈঠক করেন। ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে টানা দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন রমেশ। বৈঠকের পর, কাজের গতি বাড়াতে খুব শীঘ্রই জেলাস্তরে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার সঙ্গেও উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের বিভিন্ন দিক নিয়ে রমেশ আলোচনা করেন।
সরকারি সূত্রের খবর, বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিত প্রকল্পের টাকা সময়ে না-মেলার বিষয়ে অনুযোগ করেন রাজ্যের অফিসাররা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এখনও না-আসায় অনেক কাজ আটকে রয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানো হয়। তাঁদের আশ্বস্ত করে রমেশের বক্তব্য, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এখনও না-আসার কথা এ দিনই তিনি প্রথম শুনলেন। বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। দিল্লিতে ফিরে তিনি এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে রমেশ তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
জয়রাম রমেশ |
রাজ্য আধিকারিকদের দাবি, সারান্ডা উন্নয়ন পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ২৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন কাজ-সহ মাওবাদী প্রভাবিত পশ্চিম সিংভূম জেলায় গ্রামোন্নয়নের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই সারান্ডা উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি ওই জেলার মনোহরপুর ব্লকের মাওবাদী প্রভাবিত ৫৪টি গ্রামের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। সারান্ডা উন্নয়ন প্রকল্পে হাতে নেওয়া ১৩টি রাস্তা তৈরির কাজ আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী।
বৈঠকে তিনি রাজ্য আধিকারিকদের জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মে ওই রাস্তা উদ্বোধন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সরকারি সূত্রের খবর, সারান্ডা-সহ মাওবাদী প্রভাবিত পশ্চিম সিংভুম জেলায় বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নীতি অনুযায়ী এই কাজে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে কাজে লাগানো হবে। |