দলে ‘বেয়াড়া’ মোদীর গুরুত্ব কমাতে চায় সঙ্ঘ
ঙ্ঘকে উপেক্ষা করে বিজেপিতে আর একটি ক্ষমতাকেন্দ্র গড়ার সুযোগ নরেন্দ্র মোদীকে দিতে চায় না আরএসএস। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, প্রায় দু’মাস ধরে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন মোদী। কিন্তু এখনও বৈঠক হয়নি। সংগঠন সূত্রে খবর, এ ভাবে উপেক্ষার মধ্য দিয়েই মোদীকে সেই বার্তা দিচ্ছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।
উত্তরপ্রদেশে আজই নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। কিন্তু সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতাদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে এক দিনও প্রচারে গেলেন না গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ সঙ্ঘ নেতৃত্ব মনে করছেন, মোদী নিজেকে দলের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছেন। সঙ্ঘকে উপেক্ষা করে বিজেপিতে আর একটি ক্ষমতাকেন্দ্র গড়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সঙ্ঘ কোনও ভাবেই এতে প্রশ্রয় দেবে না। বৈঠকের জন্য সময় না দিয়ে মোদীকে সে কথাই বুঝিয়ে দিতে চাইছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।
মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতারা অবশ্য ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, আরএসএসের বাছাই করা বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ীও যে ভাবে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে তা সুখকর নয়। দাঙ্গার কলঙ্ক সত্ত্বেও আজ গুজরাতকে উন্নয়নের শিখরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মোদী। রাজ্যে তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতাকেও কেউ চ্যালেঞ্জ জানানোর নেই। দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যেও মোদীর একটা প্রবল আকর্ষণ রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁর আপত্তিকে উপেক্ষা করে সঞ্জয় জোশীকে উত্তরপ্রদেশের সংগঠনের দায়িত্বে এনেছেন গডকড়ী। তবে গডকড়ীর নেতৃত্বে দল যে ভাবে চলছে, তাতে শুধু মোদী নন, দলের অনেক শীর্ষ নেতাই অসন্তুষ্ট। লালকৃষ্ণ আডবাণীও গডকড়ীর সব কাজকর্মে খুশি নন। ভোট প্রচারে যাবেন না বলে তিনিও প্রথমে মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু মোদী যে ভাবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন, আডবানী বা অন্যরা তা থাকতে পারেননি।
কিন্তু গডকড়ী শিবিরের বক্তব্য, মতান্তর-মনান্তর যা-ই থাক, আলোচনায় বসে তা সমাধান করা যায়। তবে সকলকেই দলের অনুশাসন মেনে চলতে হয়। মতান্তর সত্ত্বেও আডবাণী উত্তরপ্রদেশে প্রচার করেছেন। অসুস্থতা সত্ত্বেও অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজের মতো নেতা-নেত্রীরাও লাগাতার প্রচার করেছেন। গডকড়ী ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, এটা ঠিক যে দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে মোদী জনপ্রিয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে প্রচারের বিষয়ে মোদী যে ভাবে মুখ ফিরিয়ে থেকেছেন, তাতে নিজের পায়ে তিনি নিজেই কুড়ুল মেরেছেন। এ বছরের শেষে গুজরাত নির্বাচনের আগে মোদী নিজেকে ধীরে ধীরে জাতীয় নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলেন। চেয়েছেন পরের লোকসভায় দল তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরুক। কিন্তু সেটি করছেন সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতৃত্বকে উপেক্ষা করেই। এর ফলেই সংঘাত। সঙ্ঘের এক নেতার কথায়, কোনও কোনও সময়ে বাজপেয়ীর সঙ্গেও আরএসএসের ভাল সম্পর্ক ছিল না। তা সত্ত্বেও বাজপেয়ী সফল হয়েছিলেন, কারণ সঙ্ঘের সঙ্গে তিনি প্রকাশ্য সংঘাতে যাননি। ২০০৫ সালে চেন্নাই অধিবেশনে সঙ্ঘের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন আডবাণী। কিন্তু তাঁকেও শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছিল সঙ্ঘের চাপে। অটল-আডবাণী জমানার অবসান হয়েছে। এখন গডকড়ীকে নেতৃত্বে বসিয়ে সঙ্ঘ ফের বিজেপির রাশ নিজের হাতে রাখতে চাইছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.